দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় গান, ধুনুচি নৃত্য ও কবিতায় ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে প্রতিবাদী আরতি নামের এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিকদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই। যখনি দেশ একটি ভালো সময়ে যায়, সুন্দরের আবাহন করতে চায় তখনই সাম্প্রদায়িক শক্তি ছোবল হানে। কুমিল্লার ঘটনায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। কোন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিই নিজেদের ধর্মালয়ে অন্যধর্মের উপকরণ রাখেনা। তবুও বারবার এগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটছে। একত্রিত হয়ে আমরা সকল হীন শক্তিকে লীন করে দিতে পারি। হিন্দু-মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষ এ ভূখণ্ডের সন্তান। আমাদের মাঝে যেন কেউ বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’]
বক্তারা আরও বলেন, এসব ঘটনা আমাদের হৃদয়কে ভেঙে দিয়েছে। আমরা এমন বাংলাদেশ কখনো চাইনি। একটা গোষ্টী আমাদের সম্প্রীতি বার বার নষ্ট করতে চাইছে।এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আব্বাস ও নন্দিনী কর্মকারের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ আরতিতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য শিরীণ আখতার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দে, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম, ছাত্র উপদেষ্টা সিরাজ উদ দৌল্লাহ, বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, সিন্ডিকেট সদস্য কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক, অধ্যাপক রাহমান নাসির উদ্দিন, অধ্যাপক সজিব কুমার ঘোষ, অধ্যাপক মাছুর আহমেদ প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্য দেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজী। এ ছাড়া বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
কবিতা আবৃত্তি করেন পার্থ প্রতীম মহাজন, একক নৃত্য পরিবেশন করেন, মহাশ্বেতা ভাবনা। এ ছাড়া ‘সেই সম্প্রীতি চাই’ শীর্ষক নাটক পরিবেশন করেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এমআইটি