বিশেষ শর্তে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

চবির ইতিহাসে প্রথম নারী উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার

চট্টগ্রাম, ঢাকা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি (আচার্য) এডভোকেট মো. আবদুল হামিদ। রোববার (৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারকে বিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী হিসেবে উপাচার্য পদে বসার সুযোগ পেলেন। এর আগে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, তাকে উপ-উপাচার্যের পদ ছাড়তে হবে এবং নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না দেওয়া অথবা পুনরাদেশে না দেওয়া পর্যন্ত এই নিয়োগ বলবৎ থাকবে। তবে রাষ্ট্রপতি (আচার্য) মনে করলে যেকোনও সময় এই নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদ শেষে গত জুনে ড. শিরীণ আখতারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

রোববার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ হয়। প্রজ্ঞাপনে কিছু শর্ত উল্লেখ করে বলা হয়, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩- এর (১২)২ ধারা অনুযায়ী ড. শিরীণ আখতার, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ করা হলো।’

বিশেষ শর্তে স্থায়ী নিয়োগ পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য 1

শর্তগুলো হলো সিনেট কর্তৃক নির্বাচিত প্যানেল হতে নিয়মিত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ অথবা পুনোরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিয়োগ বলবত থাকবে, ভাইস চ্যান্সেলর পদে তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হবে, তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময়ে এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সহকারী অধ্যাপক, ২০০২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে চার বছর মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনিও এর আগে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এবার তাকে পূর্ণ মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হলো।

এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন (আরেফিন মাতিন)। চার বছর মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

ঢাকা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই নিয়োগ চার বছর বলবৎ থাকবে। তবে রাষ্ট্রপতি (আচার্য) মনে করলে মেয়াদের আগেই এই নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

উভয় ক্ষেত্রেই নিয়োগের শর্তে বলা হয়, উপাচার্য পদে তাদের বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতা প্রাপ্য হবেন। তবে বিধি অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

এইচটি/এসএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!