চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের কনফারেন্স হলে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে অবরোধকারীদের বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে আজকের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে অবরোধকারীরা। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন, শিক্ষক বাস চলাচল করবে এবং পূর্বনির্ধারিত ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে শনিবার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। এই ঘটনার জের ধরে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে দুই গ্রুপের মধ্যে। এতে দুইজন আহত হয় আর আটক হয় দুইজন।
এই ঘটনার জেরে ছাত্রলীগের একপক্ষ চট্টগ্রাম নগরী থেকে ক্যাম্পাসগামী পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। রোববার সকালে নগরীর কদমতলী এলাকা থেকে শাটল ট্রেনচালককে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া শাটল ট্রেনের ৩২টি পয়েন্টে হোসপাইপ কেটে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর ফলে সকাল থেকে কোনো শাটল ট্রেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে যেতে পারেনি। একইভাবে যেতে পারেনি শিক্ষকদের বহনকারী বাসও।
এদিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘাতের নেপথ্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বর্তমান সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের দ্বন্দ্বের তথ্য পাওয়া গেছে। মূলত হলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘাতের সূত্রপাত।
সিএফসি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন রেজাউল হক রুবেল। আর বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী। উভয়ই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এইচটি/এসএস