চবিতে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম: ১২ জনকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

রেজিস্টার-প্রক্টরসহ অভিযুক্ত ৪৭

নিয়মবহির্ভুত নিয়োগ প্রক্রিয়া করার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ১৪২ জন কর্মচারীর নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্ত খতিয়ে দেখতে রেজিস্টার, সাবেক প্রক্টর ও তিন ডিন ও আট শিক্ষকসহ ৪৭ জনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ে স্বাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পৃথকভাবে দ্বিতীয় ধাপসহ চতুর্থ ধাপে এ জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চলমান থাকবে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ১২জন করে ২৪জন এবং তৃতীয় ধাপে ১১জনকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ধাপে (২২ আগস্ট) চবির সাবেক প্রক্টর, তিনডিন, আট শিক্ষক, রেজিস্টারসহ আরও দু’কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা ফকরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি চবি রেজিস্টার বরাবরে প্রেরণ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি ও নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার অভিযোগ আনা হয়। এই তালিকায় রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার কেএম নুর আহমদ, তৎকালীন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সাবেক প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এএফএম আওরঙ্গজেব, বিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম, পরিবহন দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. রাশেদ উন নবী চৌধুরী, শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গোলাম কবির ও ভারপ্রাপ্ত হিসাব নিয়ামক ফরিদুল আলম।

দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ সহকারী পরিচালক ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সকাল ১১টা থেকে প্রথম ধাপে ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পৃথক চার ধাপের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ জিজ্ঞাসাবাদ।’

আজাদ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!