চট্টলাবাসীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাণিজ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম আউটার স্টোডিয়ামে মাসব্যাপী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৯ উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী মো. টিপু মুন্সি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মানুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম আমার বহুকালের পরিচিত একটি শহর। চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রামের মানুষ আমার অনেক প্রিয়। সকালে যখন বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাই, তখন আমার অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম।

তিনি বলেন, আমি সবসময় চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রামের মানুষের ভালোবাসার কথা বলি। প্রায় ২৫ বছর আগে যখন আমি চট্টগ্রাম আসি, তখন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা আমায় কাছে টেনে নিয়েছিলেন। তখন আমি একটি বক্তৃতায় বলেছিলাম, শঙ্খ কানে লাগালে সমুদ্রের গর্জন শোনা যায়। তেমনি চট্টগ্রামের মাটিতে পা দিলেই মেলে চট্টগ্রামবাসীর ভালোবাসার স্পন্দন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত চট্টগ্রামবাসীর সাথে আমার প্রাণের সম্পর্ক।

চট্টগ্রামবাসীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমি তিনবার নির্বাচন করেছি এবং সভাপতিও হয়েছিলাম। সেই নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছি চট্টগ্রাম থেকেই। আমি অবাক হই এটা ভেবে যে ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামেই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছি। এরপর থেকে চট্টগ্রামের প্রতি আমার ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়। তাই চট্টগ্রামবাসী যখনই আমাকে ডাকে, তখনই আমি ছুটে আসি। ভালো লাগে চট্টগ্রাম শহর। নিজের আপন মানুষ আর ব্যবসায়ীদের দেখে মন ভরে গেছে।

বাইরে থাকলেও সবসময় আমার প্রাণের শহর চট্টগ্রামের খবর নিতাম। চট্টগ্রামের কারো সাথে দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম, আমার চট্টগ্রাম কেমন আছে?
এ সময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা সবাই ব্যবসা-বাণিজ্য করবো। আমাদেরকে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। বাংলাদেশের লাইফলাইন চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ চট্টগ্রামের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই আপনাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে- সমৃদ্ধ করতে হবে চট্টগ্রামকে, ব্যবসা-বাণিজ্যকে। তাহলেই আমরা সফল হব। ২০২১ সাল হবে আমাদের মাইলস্টোন। ৬০ বিলিয়ন ডলার আমাদের রপ্তানি টার্গেট।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি আমাদের জন্য একটা শিক্ষা। আগামীতে যাতে এরকম না হয়, সেটা ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা এখন খাদ্যে সারপ্লাস করছি। পেঁয়াজ নিজেরা উৎপাদন করতে পারলে ভবিষ্যতে এই সংকট মোকাবেলা করা যাবে। আশা করি, আগামী বছর অবস্থার উন্নতি হবে।
আমরা ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাই তা না, আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। আমাদের সব চেষ্টা হলো আগামীতে যেন নিজেরাই এসব জিনিস উৎপাদন করতে পারি।

সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!