একের পর এক জয় নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে চট্টগ্রাম আবাহনী। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) আয়োজিত প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে চট্টগ্রাম আবাহনীর জয়রথ থামাতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশও।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগের ১৪ নম্বর খেলায় ফোর এইচ গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় সেরাজ ফোর এইচ স্পোর্টস একাডেমির নিজস্ব খেলোয়াড় নিয়ে গড়া দল চট্টগ্রাম আবাহনী ৩৪ রানে হারায় সিটি করপোরেশন একাদশকে।
সকালে টসে জিতে চট্টগ্রাম আবাহনী ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ম্যাচের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই তারা হারায় নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মহিউদ্দিনকে। এরপর শোয়েব এসে জুটি গড়েন সাইদুল ইসলাম সাঞ্জুর সাথে। সিটি কর্পোরেশনের বোলারদের সামনে বেশি সুবিধা করতে না পারলেও পরবর্তী ১৫ ওভারে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি এ দুজন। এসময় রান উঠে মাত্র ৪২।
১৭ রান করা সাঞ্জু বিদায় নেয়ার পর উইকেটে এসে শোয়েবের সাথে ২৭ রানের জুটি গড়েন দলীয় অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন। এ জুটিতে রান উঠে মাত্র ২০। রিপনের বিদায়ের পর দলকে ভালো ভিত্তি গড়তে সহায়তা করেন আল আমিন জুনিয়র। মাত্র ৪৪ বলে ৪ চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন তিনি। আল আমিনের বিদায়ের পর সাত নম্বরে নেমে শামসুদ্দিন বাপ্পা ২৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন।
এরপর আবু বক্কর জীবন ও মোহাম্মদ ইমরান দুজনই করেন ২১ রান করে। সেই সুবাদে ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে চট্টগ্রাম আবাহনী ২২৮ রান করে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাদশের হয়ে ইকবাল ৩টি, মিঠু ও হৃদয় ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে, সিটি করপোরেশনকে ২২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন শাহাদাদ ও রোকন। আবাহনীর মোহাম্মদ হোসাইন আক্রমণে এসেই তুলে নেন সিটির জোড়া উইকেট।
এরপর আবাহনীর বোলারদের ধৈর্য পরীক্ষা নেন রোকন ও লিখন। এ দুজন গড়েন ৫৩ রানের জুটি। অর্ধ শতক থেকে এক রান দূরে থাকতে হোসাইনের বলে বোল্ড আউট হয়ে যান রোকন।
এরপর লিখন ও আনোয়ার হোসেন মিলে ম্যাচের সবচেয়ে বড় জুটি গড়েন। জাহিদ জাভেদের বলে ক্যাচ দিয়ে আনোয়ার হোসেন বিদায় নিলে ভাঙে ৮৩ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ৫৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন আনোয়ার।
এরপর লিখন একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে আবাহনী বোলারদের সামনে আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হলে ১৯০ রানে থেমে যায় সিটির দৌঁড়। লিখন খেলেন ম্যাচ সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস।
চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে মোহাম্মদ হোসাইন ২৪ রানে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া, আবু বক্কর জীবন ও শামসুদ্দিন বাপ্পা নেন দুটি করে উইকেট।
এমএহক