চট্টগ্রাম শহরে ৬-৭টি সিনেপ্লেক্স হবে এক থেকে দেড় বছরে

জানালেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

‘চলচ্চিত্রের বিশেষ করে সিনেমা হলের যে অবস্থা, অনেকগুলো হল বন্ধ হয়ে গেছে। হল না থাকলে তো চলচ্চিত্র বাঁচবে না, কারণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মূল মাধ্যম হচ্ছে হল। সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হল বন্ধ হলেও সিনেপ্লেক্স বাড়ছে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ঢাকায় ১০-১৫টির বেশি হবে। চট্টগ্রাম শহরেও ৬-৭টি হয়ে যাবে। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও হচ্ছে। একটি প্রতিষ্ঠান সারাদেশে ১০০টি সিনেপ্লেক্স করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এক থেকে দুই বছরের মধ্যে যে সঙ্কট সেটা কেটে যাবে।’

চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক ও প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ একথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক ও প্রদর্শক সমিতির নেতারা তাদের দাবি-দাওয়া মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন।

চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক ও প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক, পরিচালক ও প্রদর্শক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আগে বলতাম প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে, এখন বলছি হল বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। বাংলাদেশে এক সময় ১ হাজার ৩০০ সিনেমা হল ছিল। গতবার ১৭০টি হলে চলচ্চিত্র মুক্তি দেওয়া গেছে। এবার ৮০টির উপর হল খুঁজে পাইনি। আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হবে।’

চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘সিনেপ্লেক্সগুলোতে একটি টিকেট বিক্রি করে ৪৫০ টাকা নেওয়া হলে সেখান থেকে প্রযোজককে মাত্র ৫৫ টাকা দেওয়া হয়। আর অন্য প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ২৫০ টাকার টিকেট থেকে ৩৩ টাকা, ২০০ টাকার টিকেট থেকে ১৭ টাকা এবং ১৬০ টাকার টিকেট থেকে ১৩ টাকা প্রযোজক পান।’

প্রযোজকরা হল মালিকদের কাছ থেকে ট্যাক্স বাদে টিকেটে বিক্রির অর্ধেক টাকা যাতে পান, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

সভায় তথ্যমন্ত্রী জানান, চলচ্চিত্রে অনুদানের অর্থ ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। একটি চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান ৬০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ লাখ টাকা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘সিনেপ্লেক্সে টিকেটের দাম কোনো জায়গায়ই ৩০০ টাকার কম নয়। সেখানে থেকে প্রযোজক মাত্র ৩০ টাকা পাবেন, এটা হওয়া উচিত নয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নীতিমালা পরিবর্তন করতে যাচ্ছি, অনুদানের যে ছবিগুলো বানানো হবে, তা হলে মুক্তি দিতে হবে। আগে অনুদানের ছবি হলে মুক্তি দিত না, আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিত।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!