রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের গোডাউন থেকে অর্ধ কোটি টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এতে নিরাপত্তা ঘাটতির কারণেই এ চুরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চুরির ঘটনায় তিন জনের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানা গেছে।
এদিকে গোডাউন থেকে মালামাল চুরিতে চোরের আনাগোনায় সীমানাপ্রাচীরের দু’পাশে দুটি বড় গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ দুটি গাছ বেয়ে চোর আসা-যাওয়া করে বলে জানা গেছে।
পাহাড়তলীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের (পূর্ব) সহকারী জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পরিদর্শন) আলমগীর হোসেন তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি বিকালে মালামাল গোডাউনে রাখতে গেলে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। গোডাউনের তালা ও প্যাকেট ঠিক থাকলেও প্যাকেটের ভেতরে ছিল না মালামাল। ক্যাবল, স্প্রিংসহ রেলের প্রায় অর্ধকোটি টাকার সরঞ্জাম উধাও হয়ে যায় গোডাউন থেকে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, তিন শিফটে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ছয় জন। ফলে ছয় জন মিলে বিশাল এলাকা আট ঘণ্টা করে তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করছে।
চোর গাছ বেয়ে আসে, গাছ বেয়ে যায়
প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব) দপ্তরের চোর প্রবেশের নিরাপদ রুট সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ও বাইরে দুটি গাছ। রাস্তার পাশে বড় গাছ বেয়ে চোর সীমানাপ্রাচীরের ওপর ওঠে এবং সীমানার ভেতরে আরেকটি গাছ বেয়ে সহজেই নেমে পড়ে। এভাবে মালামালও চুরি করে ভেতর থেকে বাইরে নিয়ে যায়।
এ গাছ দুটি ব্যবহার করেই চোরের দল প্রায়ই চুরি করছে—এমনটি ধারণা দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের। অথচ চুরি ঠেকাতে কোটি টাকা ব্যয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজ করছে প্রকৌশল দপ্তর।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তা সংলগ্ন সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে একটি গাছ কাত হয়ে আছে। যেটির ওপর দিয়ে অনায়াসে সীমানাপ্রাচীর টপকে যাওয়া যায়। আর সীমানাপ্রাচীরের ওপারে কাত হয়ে আছে আরেকটি বড় গাছ, যেটি বেয়ে সহজেই নামা যায়।
এ বিষয়ে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব) মো. বেলাল হোসেন সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না।’ এরপর তিনি গাছ কাটতে প্রকৌশল দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানান।
জেএস/ডিজে