চট্টগ্রাম রেলে কোটি টাকা আত্মসাতের দায় ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঘাড়ে, পরিশোধের সময় ৩০ দিন

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে ভুয়া বিল-ভাউচারে কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অর্থদণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। আত্মসাৎ হওয়া পুরো টাকা পরিশোধ করতে হবে তাদের। এজন্য তাদের এক মাসের সময় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম এবং অর্থদণ্ডের টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা সার্বিক (পূর্ব) মো. সাইদুর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি (স্মারক নম্বর-৪৩) জারি করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার (পূর্ব) কার্যালয় (এফএঅ্যান্ডসিএও) দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারী হলেন—এও/এম/টিএ মো. মামুন হোসেন, পাহাড়তলী কারখানার (ডিএফএ) প্রতিস্থাপন ও সংস্থাপন শাখার হিসাবরক্ষক সৈয়দ সাইফুর রহমান, সিআরবির (পদ্ধতি) ডিএফএর অডিটর পবন কুমার পালিত, টিএ/প্রশাসন/এও মো. আবু নাসের, সিআরবির (সিপিবি) হিসাবরক্ষক শিমুল বেগম, চট্টগ্রামের (ডিএফএ) জুনিয়র অডিটর ইকবাল মো. রেজাউল করিম ও সিআরবির (বিঅ্যান্ডবি) অফিস সহায়ক মো. মাকসুদুর রহমান।

রেলের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর এফএঅ্যান্ডসিএও দপ্তর থেকে মেসার্স দি কসমোপলিটন কর্পোরেশনের নামে ভুয়া বিলে ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার একটি চেক পাস করা হয়। ওই চেকটির নম্বর ছিল র-১১৩৯০৮৫, যেটি ৩১ ডিসেম্বর নগদায়ন করা হয়। এতে ওই সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীর অসদাচরণ তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য তাদের গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মো. মামুন হোসেনকে সরকারের ক্ষতিসাধন টাকার মধ্যে ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৯ লাখ ৩৮ হাজার, সৈয়দ সাইফুর রহমানকে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার, পবন কুমার পালিতকে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার, মো. আবু নাসেরকে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০, শিমুল বেগমকে ৯ লাখ ৬৯ হাজার, ইকবাল মো. রেজাউল করিমকে ৮ লাখ ৭২ হাজার ১০০ ও মো. মাকসুদুর রহমানকে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এসব টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে এই সাত কর্মচারীর বেতন গ্রেড সর্বনিম্ন ধাপে অবনমন করা হয়েছে। এছাড়া আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমের অ্যাকাউন্টিং রোলের সব ধরনের কাজ থেকে তাদের বিরত রাখা হয়। সাতজনে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অর্থদণ্ডের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া পর তাদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার হবে।

এ বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা সার্বিক (পূর্ব) মো. সাইদুর রহমান সরকারকে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm