চট্টগ্রাম রেলের স্লিপার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, নতুনত্ব আনবে প্রকৌশল বিভাগ
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের স্লিপার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নেই কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। অথচ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত রেলের স্লিপারগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয় এখান থেকে। সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর এখানের শ্রমিকরাও আছেন আতঙ্কে। তবে শ্রমিকদের কথা ভেবে এই প্লান্ট আধুনিকায়ন করার কথা জানিয়েছে রেলের প্রকৌশল বিভাগ।
জানা যায়, চট্টগ্রামের চন্দনাইশের কাঞ্চননগরে এই সিপ্লার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। এখানে রেলের স্লিপারগুলো সংস্কার করা হয়। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে যেসব উডেন ও সিমেন্টের স্লিপার ব্যবহার করা হয় সেগুলো এখান থেকেই ব্যবহার উপযোগী হয়ে যায়। আর এই কাজে ব্যবহার করা হয় দাহ্য পদার্থ ফার্নেস অয়েল ও কয়লা। তবে এমন দাহ্য পদার্থের ব্যবহার হলেও এখানে নেই অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা। তাই প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকিতে থাকে এখানে কাজ করা শ্রমিক-কর্মচারীরা।
সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী জুলাই মাসে এই প্লান্টটি আধুনিকায়নের কথা জানায় তারা।
ট্র্যাক সাপ্লাই দপ্তর (টিএসও)প্ল্যান্টটি আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রোববার (২৬ জুন) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-পটিয়া রেল রুটের কাঞ্চননগরের এই স্লিপার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হলেও নেই কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি।
শ্রমিকরা জানান, রেল লাইনে দু’ধরনের সিপ্লার ব্যবহার করা হয়। একটি কাঠের এবং অন্যটি সিমেন্টের। তবে সিমেন্টের চেয়ে কাঠেরটি অধিক টেকসই ও দাম কম। আর এইসব স্লিপার ব্যবহার উপযোগী করতে সংস্কার করা হয় এই প্ল্যান্টে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ট্র্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা (টিএসও) হামিদুর রহমান বলেন, ‘আগামী জুলাইয়ে প্ল্যান্টের আধুনিকায়নের কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকৌশল বিভাগ শ্রমিকদের সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জাফর আহম্মদ মিয়া বলেন, ‘রেলের সেবার মান বৃদ্ধিতে, শ্রমিক-কর্মচারীদের সুরক্ষায় প্ল্যান্ট আধুনিকায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রকৌশল বিভাগ।’
ডিজে