চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে শিক্ষার্থীরা রেস্টেশনে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
পরে তারা রেলস্টেশনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
জানা গেছে, গত মাসে রেলের টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন মহিউদ্দিন নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী।
এরপর রেলের টিকেট সিস্টেমে হয়রানি বন্ধ, টিকেট ব্যবস্থা কালোবাজারি মুক্ত রাখা, ট্রেনে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহসহ ৬ দফা দাবি নিয়ে ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন ওই শিক্ষার্থী।
এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রোববার থেকে চট্টগ্রামেও আন্দোলন শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা নানা দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে রেলস্টেশনে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় রেলওয়ে কতৃপক্ষ তাদের বাধা প্রদান করে।
পরে শিক্ষার্থীরা স্টেশনের বাইরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসে রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নয় শিক্ষার্থীরা হলেন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের জিকো চাকমা ও মো. মুজাহিদুজ্জামান, একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহবুব হাসান, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ মাহিন, চতুর্থ বর্ষের কাজী আশিকুর রহমান, আকবর আলী এবং ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মোহাম্মদ তৌফিক ও দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ৬ দফা দাবি জানিয়ে গতকাল শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছি স্টেশন এলাকায়। কিন্তু আজ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের রেলস্টেশনের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘বিশৃঙখলার আশংকা থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আদেশে প্রথমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্টেশনের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শর্তে তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।’
জেএস/এমএফও