চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দালালদের পোশাকে পরিবর্তন এসেছে। এবার তারা মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের (এমআর) মতো শার্ট-প্যান্ট পড়ে মেডিকেলের ওয়ার্ড থেকে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ল্যাবে। এভাবে রোগী নেওয়ার সময় তিন দালালকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ নম্বর মেডিসিন ও ১৫ নম্বর রেডিওলজি ওয়ার্ড থেকে তাদের আাটক করা হয়। এনিয়ে গত তিনদিনে আট দালাল ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে।
আটক তিন দালাল হলেন—বায়েজিদ থানার আরেফিন নগর এলাকা রতন সরকারের ছেলে ইমন সরকার (২৫), বাঁশখালীর মিয়া জরদির রশিদ আহমেদের ছেলে মিজানুর রহমান (২৯) ও আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের ফাতেহা দীঘির পাড় এলাকার মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মহিউদ্দীন (৩০)।
এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরতি গ্রামের মৃত খোগেন্দ্র দাশের ছেলে বাদল দাশ (৫১), সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকার মধ্যম সলিমপুরের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৪৫) এবং নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার নাটেশ্বর হাজী বাড়ির মৃত খেফায়েত উল্ল্যাহর ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৪) নামের তিন দালালকে আটক করা হয়।
পরদিন ৬ অক্টোবর মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে থেকৈ পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও এলাকার মৃত সুনীল দত্তের ছেলে কার্তিক দত্ত (৪০) এবং বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর এলাকার মৃত অনিল দাশের ছেলে উত্তম দাশ (৪৮) নামের আরও দুই দালালকে আটক করে পুলিশ।
আটক দালালদের মধ্যে মহিউদ্দিন এর আগেও পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। পরে আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে বলে জানান মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নূরুল আলম আশেক।
নূরু আলম আশেক বলেন, আটক দালালরা পোশাকে পরিবর্তন এনেছে। আমরা খবর পাই শার্ট টাক-ইন করে মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভের মতোই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থেকে রোগী ভাগিয়ে তাদের পছন্দের ল্যাবে নিয়ে যায়। তাদের পছন্দের দোকান থেকে রোগীদের চড়াদামে ওষুধ কিনতে বাধ্য করে। সোমবার হাসপাতাল পরিচালকের উদ্যোগে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্ড মাস্টাররা দালাল ধরতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
আইএমই/ডিজে