চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। রোগীদের ভোগান্তি দেখে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মাথায় তারা কর্মসূচি স্থগিত করে কাজে ফেরে।
এর আগে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের মারধর ও ভাঙচুরে প্রতিবাদে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট থেকে কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা। এরপর বিকাল ৪টা থেকে আবারও চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা।
এদিকে রোববার দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. তছলিম উদ্দিন খান। অন্তত দুই ঘন্টা ধরে চলে এ বৈঠক। বৈঠকে চমেক হাসপাতাল পরিচালক শাটডাউন কর্মসূচি থেকে সরে আসতে চিকিৎসকদের বোঝানোর চেষ্টায় বেশ আন্তরিক ছিলেন; এমন তথ্যই নিশ্চিত করেছেন ওই বৈঠকে উপস্থিত এক চিকিৎসক।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রাজিব কুমার পালিত চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তা চান। পরিচালক মহোদয় আশ্বস্ত করেছিলেন, নিরাপত্তায় কোন বিঘ্ন ঘটবে না। তাতেও কাজ হয়নি। কর্মবিরতিতে গেছেন চিকিৎসকরা। এখন এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দিব, তা জানা নেই।’
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’র ঘোষণা দেয় সারাদেশের চিকিৎসকরা।
এর ধারাবাহিকতায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরাও কর্মবিরতিতে যান। ফলে বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম।
ডিজে