চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চার শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় কলেজ উপাধ্যক্ষকে প্রধান করে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার সুষ্ঠতদন্ত ও বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ‘আজ সভা শেষে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছি। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কাজ করতে গিয়ে যদি সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, তা বিবেচনা করা হবে।’
উপাধ্যক্ষ ডা. মো হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডা. মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী, ডা. এম সাহাবুদ্দিন আহামদ, ডা. তানুজা তানজিম, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, ডা. মো. রাশেদ মীরজাদা ও ডা. রেহনুমা ঊর্মি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা (৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থী) ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করেছে।
মো. জাহিদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় আমরা শুক্রবার রাতে সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ ক্লাস বর্জন করেছি।
গত বুধবার রাত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রাবাসে ৪ শিক্ষার্থীকে ২ ঘণ্টা ধরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে দু’জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কলেজ প্রশাসন।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন ৬২তম ব্যাচের এম এ রায়হান, মোবাশ্বির হোসেন শুভ্র, জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল এবং সাকিব হোসেন। এরমধ্যে ওয়াকিল ও সাকিব মেডিকেলের হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে চিকিতসাধীন আছে।
পরে বাকি দু’জনকে কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ পাওয়া গেছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার।
আইএমই/ডিজে