চট্টগ্রাম মেডিকেলে ছাত্রলীগ সংঘর্ষে আরেক মামলা নওফেল অনুসারীর

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর মামলা পাল্টা মামলা চলছেই। সংঘর্ষের ঘটনায় এবার আরও একটি মামলা দায়ের করেছে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের একজন অনুসারী। চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের দায়ের করা এটি তৃতীয় মামলা।

গত ২৯ অক্টোবর রাতে চমেক ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন চমেকের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী ইমন শিকদার। তিনি ক্যাম্পাসে নওফেল গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত।

মামলার আসামিরা হলেন আহসানুল কবির রুমন, জাহিদুল ইসলাম জিসান, ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, মো. আনিস, নাইমুল ইসলাম, ইফরাইন, এইচ আর মাহফুজুর রহমান, সাদ মোহাম্মদ গালিব, মাহতাব উদ্দিন রাফি, আসিফ বিন তাকি রিফাত, তৌহিদুল হাসান তন্ময়, আহমেদ ফয়সাল, পল্লব বিশ্বাস, মাহাদি বিন হাসিম, আল আমিন ইসলাম শিমুল ও মিনহাজ আরমান লিখন।

মামলার বিষয়টি চাট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান। তিনি বলেন, ‘২৯ অক্টোবর চমেক হোস্টেলে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ইমন শিকদার নামে একজন। ওই রাতে ৬২ ব্যাচের দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।’

এর আগে গত (১ নভেম্বর) হোস্টেলে হামলার ঘটনায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর গ্রুপের ১৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী মাহমুদুল হাসান।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে শনিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।

শনিবার সকালের সংঘর্ষে আহত হন মাহাদী আকিব। আগের রাতে মাহফুজ ও নাইমুল নামে দুজন আহত হন। তাদের মধ্যে আকিব নওফেলের অনুসারী ও বাকি দুজন নাছির উদ্দীনের।

তবে মঙ্গলবার চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলায় ঘটনার ৪ দিন পর প্রথমবারের মত ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় মাহিন আহমেদ ও মো. শোয়েব নামে নিজেদের আরও দুজন সহকর্মী আহত হওয়ার কথা জানালেন।

চমেকের এই সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথম মামলাটি দায়ের হয় পাঁচলাইশ থানায় ৩০ অক্টোবর রাতে। সেদিন ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৬ থেকে ৭ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান।

এর মধ্যে এনামুল হাসান সীমান্ত ও রক্তিম দে নামের এজাহারভুক্ত দুজন আসামিকে রাতেই হাসপাতালের গেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এআরটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm