চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের (১৬ নম্বর) ইন্টার্ন ডাক্তারদের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) গত তিন মাস নিয়মিত চিকিৎসকদের সঙ্গে যারা ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছেন তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থী গোল্ড মেডেলিস্ট ডা. জয়ীতা চক্রবর্ত্তীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এতে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. অনির্বাণ দেব বলেন, ‘ইন্টার্নশিপ যেকোনো ডাক্তারের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সময়। ছয় মাস সার্জারি ও গাইনির ডিউটি শেষে আমরা ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে যোগ দিই। মেডিসিন ওয়ার্ড মানে, লেখাপড়া আর রোগী দেখার মাঝে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য ডাক্তার হিসেবে তৈরি করার যুদ্ধ। রোগীদের সেবার পাশাপাশি আমরা রোগ সম্পর্কে জানা ও শেখার ব্যাপারে বরাবরই আগ্রহী ছিলাম। বিভিন্ন জটিল এবং প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত অসুস্থ রোগীরা আমাদের হাতে চিকিৎসা পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছে। আমাদের কারো কারো ডায়াবেটিক সংক্রান্ত জটিলতায় মৃতপ্রায় রোগীর সাথে সারারাত লেগে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আবার কীটনাশকে বিষক্রিয়ার রোগীদের সুস্থ করার অভিজ্ঞতাও হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে লোমহর্ষক যে ঘটনার সাক্ষী আমরা হয়েছি তা হলো বিষধর সাপের কামড়ে আক্রান্ত মৃতপ্রায় রোগীর চিকিৎসা করে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইসিইউতে নিয়ে গিয়ে ইনকিউবেট করে তাদের জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড যেকোনো সাপে কাটা রোগীর প্রথম এবং শেষ আশ্রয়— আমরা এ সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেছি।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. খোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ তিনমাসের পথচলায় অভিভাবক হিসেবে ছিলেন আমাদের তিন সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নাদিমুল ইসলাম, ডা. মাইন খান এবং ডা. নিশাত জাহান। তারা আমাদের সকল প্রচেষ্টাকে সবসময় উৎসাহিত করেছেন। আমাদের পাশে থেকে আমাদের খুঁটিনাটি সবকিছু শিখিয়ছেন।’
সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নাদিমুল ইসলাম সকলকে শুভকামনা জানিয়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য দিকনির্দেশনা দেন।
সমাপনী বক্তব্য দেন ইউনিট প্রধান অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ জয়। তিনি বলেন, ‘ভালো চিকিৎসক হবার পূর্বশর্ত হচ্ছে ভালো মানুষ হওয়া। দক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীবান্ধব চিকিৎসক তৈরি করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোমেন সরকার, সহকারী অধ্যাপক ডা. কাজল কান্তি দাশ, ডা. রবিউল আলম, ডা. সাঈদুল ইসলাম রাজীব, ডা. আব্দুর রহিম।
আইএমই/ডিজে