গেট দিয়ে ঢুকে তাকাতেই মনে হতে পারে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল। পরিচ্ছন্ন ফ্লোরে বসানো হয়েছে স্যাম্পল কালেকশন বা নমুনা সংগ্রহের টেবিল। সেখানে সুশৃঙ্খলভাবে নমুনা দিচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
এমন দৃশ্য দেখা গেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনসিলারি ভবনের চতুর্থ তলায়। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৬৫০ জন রোগী বিভিন্ন পরীক্ষার নমুনা দিতে পারছেন ভোগান্তি ছাড়াই।
ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, নমুনা সংগ্রহে কাউন্টারের সংখ্যা আগে দুটি, বুথ ছিল তিনটি। এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে সাতটি। আগে বহির্বিভাগের রোগীরা সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টিকিট কেটে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে টেস্ট করার সুযোগ পেতেন। আর আন্তঃবিভাগে টেস্ট করানো হতো সন্ধ্যা পর্যন্ত। কিন্তু এখন বহির্বিভাগের রোগীরাও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্যাথলজিতে পরীক্ষা করানোর সুযোগ পাবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেলের নতুন বিল্ডিংয়ের চারতলায় ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্যাথলজি ল্যাব। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬৫০ জন রোগী পরীক্ষা করছে এখানে। ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে অনেকগুলো টেস্ট করাতে পারছেন রোগীরা।
এদিকে বিআরটিএ থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোটরচালকদের ডোপ টেস্ট এখানে করা হচ্ছে ৯০০ টাকায়।
প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ শুভাশীষ বড়ুয়া বলেন, ‘কোনও রোগী আউটডোরে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানোর পর এখন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমাদের প্যাথলজি বিভাগে টেস্ট করাতে পারছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন ছয় শতাধিক টেস্ট হচ্ছে। তাছাড়া নতুন করে ডোপ টেস্ট চালু হয়েছে। দিনে অন্তত ১০০ জনের ডোপ টেস্ট হয় এখানে। সবমিলিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সংখ্যা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।’
কোন্ পরীক্ষার খরচ কত
চট্টগ্রাম মেডিকেলের প্যাথলজি ল্যাবে রক্তের সিবিসি পরীক্ষা করাতে খরচ ২০০ টাকা (বেসরকারি ল্যাবে ৬০০ টাকা), পিবিএফ পরীক্ষা ১০০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ৪০০ টাকা), এমপি পরীক্ষা ২০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা), আরবিএস পরীক্ষা ৬০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা), ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা ৫০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা), লিপিড প্রোফাইল ৩০০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা), ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা ২৫০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা), এসজিপিটি পরীক্ষা ৭০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা), ইউরিন আর/ই পরীক্ষা ২০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা), স্টুল আর/ই পরীক্ষা ২০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা), ইউরিক এসিড পরীক্ষা ১০০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা), বিলিরুবিন পরীক্ষা ৬০ টাকা (বাইরের ল্যাবে ২৫০ টাকা)।
এছাড়া মেডিকেলের ল্যাবে এসজিপিটি পরীক্ষা করাতে খরচ পড়ে ৭০ টাকা, পিসি পরীক্ষা ৫০ টাকা, এএসও টাইটর পরীক্ষা ১০০ টাকা, বিটি.সিটি পরীক্ষা ৩০ টাকা, টিজি পরীক্ষা ৫০ টাকা, এইচবি% পরীক্ষা ৩০ টাকা, কোলেস্টেরল পরীক্ষা ৫০ টাকা, এফবিএস পরীক্ষা ৬০ টাকা, আরএ পরীক্ষা ৬০ টাকা, এস ক্যালসিয়াম পরীক্ষা ৮০ টাকা, ওজিটিটি পরীক্ষা ১২০ টাকা, অ্যালক্যালাইন ফসফেট পরীক্ষা ৭০ টাকা, ইউপিটি পরীক্ষা ৮০ টাকা, এচবিএ ওয়ান সি পরীক্ষা ৩০০ টাকা, ডোপ টেস্ট ৯০০ টাকা, ইউরিয়া পরীক্ষা ৫০ টাকা, সিমেন অ্যানালাইসিস ৫০ টাকা, বিলিরুবিন পরীক্ষা ৬০ টাকা, এস অ্যালবুমিন পরীক্ষা ১৫০ টাকা, ইএসআর পরীক্ষা ৩০ টাকা, ভিডিআরএল পরীক্ষা ৫০ টাকা এবং সিআরপি পরীক্ষায় খরচ মাত্র ১৫০ টাকা।
আইএমই/ডিজে