চট্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতর বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেলেও পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রিকশা বন্ধে অভিযানে নামলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার নগরীর বাহির সিগন্যাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারি রিকশাচালকরা। এ সময় তারা তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন। অবরোধ তুলে নিতে পুলিশ প্রথমে অনুরোধ করেন। এতে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে, চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে চালকরা পিছু হটেন। তারা সড়ক ছেড়ে অলি-গলিতে অবস্থান নেন। সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারেন। পুলিশও তাদের ধাওয়া দিলে গলির ভেতরে ঢুকে যান রিকশাচালকরা। বন্ধ হয়ে যায় আরাকান সড়কে যান চলাচল।
পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সচল হয় যান চলাচল।
রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক আল কাদেরী জয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিনের অভিযানে কয়েক হাজার ব্যাটারি রিকশা, ইজিবাইক জব্দ করেছে পুলিশ। নগরীতে অন্তত দেড় লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক আছে। কিন্তু এগুলো কোথায় চলতে পারবে, কীভাবে চলতে পারবে, তার কোনো নীতিমালা নেই। পুলিশ যেখান থেকে পারছে, ধরে নিয়ে যাচ্ছে, চালকদের হয়রানি করছে। এটা তো আমরা মানতে পারি না। আমরা চাই, আমাদের প্রতি সঠিক বিচারটা হোক।
এ বিষয়ে জানতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিনকে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
চলতি এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম নগরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে ২ হাজার ৮৯৬টি ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ ও ডাম্পিং করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে চালকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল বলে জানান ব্যাটারি রিকশাচালক ও মালিকরা।
আইএমই/ডিজে