চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমাপ্ত পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত রোববার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শংকায় দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে গত মার্চের ১৭ তারিখ থেকে বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও (চবি)। ফলে দুই একটা কোর্স বাকি থাকতেই স্থগিত হয়ে যায় বিভিন্ন বর্ষে চলমান ফাইনাল পরীক্ষা। আর এতে করে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন বিভাগের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসমাপ্ত পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে দুই দফা মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে বিভিন্ন বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অবশেষ অসমাপ্ত পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী রোববার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘করোনার কারনে আটকে থাকা পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পরীক্ষার দিকে এগুবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংকটে সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে বিভিন্ন বিভাগের পুরোদমে পরীক্ষা চলমান ছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ বিভাগ সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করলেও কিছু বিভাগ অর্ধেক পরীক্ষা শেষ করে আটকে যায়। এসব বিভাগের মধ্য আছে অর্থনীতি, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা, সমাজতত্ত্ব ও আইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা, রাজনীতি বিভাগের ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ, লোক প্রশাসন ও সংস্কৃত বিভাগের মাস্টার্স, হিসাব বিজ্ঞান ও মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুইটি ব্যাচের ইন্টারশিপের মৌখিক পরীক্ষা, ফার্মেসি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের তিনটি ব্যবহারিক পরীক্ষা, গণিত বিভাগের ৩য় বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ব্যবহারিক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের মৌখিক ও ব্যবহারিক, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অষ্টম সেমিস্টার, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সের ২য় ও ৩য় বর্ষ, ওশোনোগ্রাফি বিভাগের ৩য় ও ৪র্থ বর্ষ ও ফিশারিজ বিভাগের ২য় বর্ষের পরীক্ষা অর্ধেকের মধ্যে আটকে আছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষার রুটিন দেয়া হয়েছিল।

এমআইটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm