চট্টগ্রাম বন্দরে ইলেক্ট্রিক মোটর ঘোষণায় দুবাই থেকে নিডো দুধ নিয়ে এলো ঢাকার পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস নামের এক প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অভিযানে ধরা পড়ে চালানটি। সুবিধাজনক সময় সুযোগ বুঝে চালানটি পাচার করার জন্য কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রিও দাখিল করা হয়নি। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিল অব লেন্ডিং যাচাই করে পণ্য চালানটি জব্দ করতে সক্ষম হয়। যাতে রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা ছিল ৫৫ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে একটি কন্টেইনার বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ফোর্স কিপ ডাউন করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অর্ডিট ইনভেস্টিগ্রেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে । এতে ধরা পড়ে জালিয়াতি।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে দুবাই থেকে পণ্য চালান আসার সঙ্গে সঙ্গেই ঘোষণা প্রদান করা হয় ২০ টন ইলেক্ট্রিক মোটর। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকার নওয়াবপুরের পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস। এই চালানের শিপিং এজেন্ট বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেড।
দুবাই থেকে আসা পণ্য চালানের কন্টেইনার গত ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে লেন্ডিং করে। কিন্তু ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে। কাস্টমস হাউসের নজরদারি এড়িয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ছিল আমদানিকারক। চালানটির বিল অব লেডিং ব্লক করে নজরদারিতে রাখে কাস্টমসের গোয়েন্দা টিম ।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কন্টেইনারটি বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ফোর্স কিপ ডাউন করে এআইআর কর্তৃক শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এতে পাওয়া যায় ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি নিডো ব্রান্ডের গুঁড়ো দুধ। যাতে রাজস্ব হানির সুযোগ ছিল প্রায় ৫৫ লাখ টাকা ।
উল্লেখ্য ঘোষিত ইলেক্ট্রিক মোটরের শুল্কহার মাত্র ২৬ দশমিক ২০ শতাংশ যেখানে গুঁড়ো দুধের শুল্ক হার ৮৯ দশমিক ৩২শতাংশ ।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অর্ডিট ইনভেস্টিগ্রেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে ইলেক্ট্রিক মোটর ঘোষণায় দুবাই থেকে নিডো দুধ নিয়ে এসেছে ঢাকার পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস। তারা ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি নিডো ব্রান্ডের গুঁড়ো দুধ নিয়ে এসে ৫৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু কাস্টমসের এআইআর শাখার নজরদারির কারণে তা করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘ওই চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে আইনের আওয়াতায় আনা হবে।’
এএস/ডিজে