চট্টগ্রাম বন্দরে আবার জাহাজে আগুন, এক সপ্তাহে দুই ঘটনা, নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা
৩৬ নাবিককে উদ্ধার, সাগরে ঝাঁপ দেন ১৪ জন
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’র বিস্ফোরণের পর এবার আরেক ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ আগুনে পুড়লো। সাগরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে তেল নিয়ে বন্দরে ফিরছিল সৌরভ। ১৯৮৭ সালে ডেনমার্কের তৈরি দুটি ট্যাংকারই ৩৭ বছরের পুরনো।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাষ্ট্রীয় দুটি জাহাজে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো। ফলে এমন ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা— এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ৫০ থেকে ৫৫ মিনিটে কর্ণফুলী চ্যানেল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের আলফা অ্যাঙ্গারেজে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ট্যাংকারটিতে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে চারটি স্পিডবোট গিয়ে ট্যাংকারটিতে অবস্থানরত ৩৬ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে। আগুন লাগার পর পরই ১৪ জন নাবিক সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে কোস্টগার্ড।
শুক্রবার মধ্যরাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে এক ভিডিওতে ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ ট্যাংকারটি দাউ দাউ আগুনে পুড়তে দেখা গেছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের মেটাল শার্ক নামের একটি স্পিডবোট ট্যাংকারটিতে থাকা নাবিকদের উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। পরে আরও তিনটি স্পিডবোট গিয়ে মোট ৩৬ জন নাবিককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কোস্টগার্ডের একটি টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ আগুন নেভানোর জন্য ছুটে যায়।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করে রাখা ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’তে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। এরা হলেন বাংলার জ্যোতির ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা, চার্জম্যান নুরুল ইসলাম ও বিএসসি মেরিন ওয়ার্কশপের কর্মচারী মো. হারুন।
সিপি