চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন যুগ, ১৫ হাজার কোটি টাকায় কী হবে?
চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে এগিয়ে আসছে দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় অবকাঠামো প্রকল্প। বে টার্মিনাল নির্মাণের সহায়ক অবকাঠামো গড়তে নেওয়া হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বিশাল প্রকল্প।
রোববার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৪ হাজার ৯০৯ কোটি টাকার ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০৩১ সালের জুন মাস পর্যন্ত। উত্তর হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় নির্মিতব্য এই প্রকল্পের আওতায় সমুদ্রের ব্রেকওয়াটার, নেভিগেশন চ্যানেল, রেললাইন, সড়কপথসহ প্রয়োজনীয় সাপোর্টিং অবকাঠামো তৈরি করা হবে।
এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দেবে ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকা, বাকি ৪ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি বে টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে দুটি বাস্তবায়িত হবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি), এবং একটি নির্মাণ করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেই।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালেই কৌশলগত মহাপরিকল্পনায় বে টার্মিনালের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করে। পরে সমীক্ষা চালিয়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর জন্য আলাদা প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রকল্প সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দর শুধু দেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আধুনিক বন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
