চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে অংশ নিতে আদালতের দ্বারস্থ এফএমসি স্পোর্টস

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে এফএমসি স্পোর্টসকে দেওয়া শাস্তির আপত্তি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলমান খেলোয়াড়দের দলবদল স্থগিত কিংবা সময় বাড়ানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এফএমসি।

গতকাল (২০ ডিসেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এফএমসি স্পোর্টসের সাধারণ সম্পাদক আবু সামা বিপ্লবের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব রিট পিটিশনটি করেন। পিটিশিনে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ও ৩ মার্চ ২০২২ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা বরাবর দেওয়া আবেদন সমূহের অনুলিপি সংযুক্ত করা হয়।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে এফএমসি স্পোর্টসের সেসব আবেদন এবং রিট পিটিশনের কপি হাতে এসেছে। সেসব পর্যালোচনা এবং এফএমসি স্পোর্টসের চেয়ারম্যান ইয়াসিন চৌধুরীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সর্বশেষ আসরে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এফএমসি স্পোর্টস নিজেদের দ্বিতীয় খেলায় চবক ক্রীড়া সমিতির বিপক্ষে খেলানোর জন্য আগেই দলবদল করা পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে আসে। কিন্তু ম্যাচ শুরুর আগের রাতে ইমনের ব্যাপারে অন্য একটি দল আপত্তি জানিয়েছে মর্মে তাকে এফএমসির হয়ে না খেলানোর জন্য মুঠোফোনে এফএমসি কর্মকর্তাদের অবহিত করেন সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক আব্দুল হান্নান আকবর। ইমনকে যথাযথ নিয়ম মেনে সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির সম্পাদকের সামনেই দলবদল করা হয়। ইমনকে পাওয়ায় দলের কোটার অন্য উইকেট কিপারকে ছেড়ে দেয় তারা। শেষ মুহূর্তে বিকল্প কোন উইকেট কিপার ঢাকা থেকে আনানোর সুযোগ না থাকায় তারা ইমনকে তাকে খেলাতে মাঠে নিয়ে আসে এফএমসি। তাকে খেলোয়াড় তালিকায় রেখে টস সম্পন্ন হওয়ার পর সিজেকেএস তাকে খেলতে দিতে আপত্তি জানায়। অন্যদিকে, এফএমসি ইমনকে ছাড়া খেলতে অপরাগতা দেখায়। শেষ পর্যন্ত সেদিনের খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। ফলশ্রুতিতে সিজেকেএস কর্তৃপক্ষ এফএমসিকে প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে বহিষ্কার করে প্রথম বিভাগে অবনমন করে দেয়।

শাস্তি পাওয়ার পর এফএমসি স্পোর্টস ২৭ ফেব্রুয়ারি সিজেকেএস ও জেলা প্রশাসক বরাবর শাস্তি প্রত্যাহারের আপিল আবেদন করে। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ দুটি চিঠিতে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত লিগের পরবর্তী খেলা স্থগিত রাখার আবেদন করেছিল। কিন্তু তখন চলমান লিগ এফএমসি স্পোর্টসকে ছাড়াই শেষ করা হয় এবং এফএমসিকে আগেই অবনমন করায় লিগের পয়েন্ট টেবিলের নিচের দলটিকে প্রথম বিভাগে অবনমবন করা হয়নি।

এফএমসি স্পোর্টসের কর্ণধার জানান, “আমরা বরাবর খেলাধুলার পক্ষে কাজ করে এসেছি। সেজন্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন খেলাধুলার পাশাপাশি আরব আমিরাতেও বাংলা টাইগার্স নামে একটি দল চালাচ্ছি। যেটির প্রধান কোচ, বোলিং কোচের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চট্টগ্রামের সন্তানদের সুযোগ দেয়া হয়।”

তিনি আরও বলেন, “খেলাধুলার বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সাথে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির পরিপ্রক্ষিতে আমাদেরকে দেয়া শাস্তি প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

সিজেকেএস কর্তৃপক্ষকে বারবার অফিসিয়ালি চিঠি দেয়ার পরও কোনরূপ সাড়া না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিজেকেএস ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক আব্দুল হান্নান আকবর জানান, “আদালতের কোন কাগজপত্র আমরা পাইনি। গতকাল থেকে শুরু হওয়া দলবদল নিয়ে আমরা ব্যস্ত।” আদালতের কাগজ হাতে পেলে আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm