বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই স্বাধীনচেতা গণমাধ্যমগুলো প্রায় অভিন্ন চাপ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার সহকারী সম্পাদক ও বাংলাদেশবিষয়ক প্রধান অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সম্পাদক হোসাইন তৌফিক ইফতিখার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রকাশক ও উপদেষ্টা সম্পাদক আয়ান শর্মা, পরিচালক হাসান মাহমুদ আকবরী, দৈনিক আলোকিত চট্টগ্রামের নির্বাহী সম্পাদক বিশ্বজিত বণিক প্রমুখ।
অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই সময়ে প্রিন্ট মিডিয়া সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেছে। এমনকি অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে টেলিভিশনমাধ্যমও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশেষ করে উপমহাদেশে এই চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বেশি। তবে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে পাঠক এখনও প্রিন্ট মিডিয়ার ওপর আস্থা রাখছে।
তিনি বলেন, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে যে খবরটি পাঠক মুহূর্তেই জেনে যাচ্ছে, পরদিনের সংবাদপত্রেও খবরটি যেন পাঠকের পড়ার আগ্রহ থাকে, সেভাবে প্রকাশ করাই এখন প্রিন্ট মিডিয়ার বড় চ্যালেঞ্জ।
সাম্প্রতিক সময়ে কিংবদন্তী ফুটবলার পেলের মৃত্যুর খবর পরদিনের আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে অনমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, অনলাইন-টেলিভিশন-সোশ্যাল মিডিয়ার মুহুর্মুহু প্রচারণার পরও উপস্থাপনার কৌশলে পরদিনের আনন্দবাজার বিপুল পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবেদন উদ্ভাবন করতে হবে গণমাধ্যমকর্মীদের।
পরে তিনি দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।