দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে শনিবার (২২ জুন) ‘ইছামতি নদী ঘিরে বালু তোলার হিড়িক, ধসে পড়তে পারে বগাবিলি সেতু’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতি নদীতে অভিযান চালিয়ে দুইটি মিনি ড্রেজার মেশিন ও পাইপ পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে ভাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের বগাবিলী এলাকায় ইছামতি নদীতে এ অভিযান পরিচালনা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান।
এ সময় বগাবিলী সেতু সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে আজগর আলী নামক এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুইটি মিনি ড্রেজার এবং বালু উত্তোলনের পাইপ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, ইছামতি নদীতে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হলেও উপজেলার কর্ণফুলি নদী ও শিলক খালে ড্রেজার মেশিন দিয়ে এখনো অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। আর এসব বালু উত্তোলন করছে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।
তবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে বুধবার (২৬ জুন) পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। শুধু বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত পাইপ ও মেশিন নষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত বালু উত্তোলনকারীরা আড়ালে রয়ে গেছে। এর পরও উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রশাসন যখন অভিযান চালায় তখন কিছুদিনের জন্য সাময়িক বন্ধ থাকে বালু উত্তোলন। সপ্তাহখানেক পর আবারো বালু তোলা শুরু হয়। তাদের দাবি, যদি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হতো, তাহলে হয়তো বালু উত্তোলন বন্ধ হতো। না হলে বছরের পর বছর সরকারি নদী থেকে বালু উত্তোলন হবে এটাই স্বাভাবিক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুইটি খননযন্ত্র ধ্বংস করি। এরপরও যদি কেউ বালু উত্তোলন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এএইচ