চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সংবাদ নিয়ে সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যাখ্যা

গাফেলতির অভিযোগ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধেই

দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘তরল বর্জ্য সমুদ্রে ফেলে কক্সবাজারের সায়মন, এসটিপিও অকার্যকর‘ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে ভিন্নমত জানিয়ে একটি ব্যাখ্যা পাঠিয়েছে কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটেল ‘সায়মন বিচ রিসোর্ট’ কর্তৃপক্ষ।

সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব রহমান রুহেল স্বাক্ষরিত ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রথম বেসরকারি হোটেল হিসেবে ১৯৬৪ সালে যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত ৫৫ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে হোটেল সায়মন। ঐতিহ্যবাহী সায়মন হোটেল ২০১৫ সালে নতুন আঙ্গিকে সায়মন বিচ রিসোর্ট নামে পাঁচ তারকা হোটেল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরিবেশ-প্রতিবেশের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে কক্সবাজারে সাড়ে চার শতাধিক হোটেলের মাঝে প্রথম ও একমাত্র হোটেল হিসেবে এসটিপি স্থাপন করে। যা গত চার বছর ধরে কার্যকর রয়েছে। এই এসটিপির উদ্দেশ্য হলো পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা বাস্তবায়ন করা।’

‘এ অবস্থায় পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসানের ভাষ্যে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন পত্রিকার সংবাদে জানা যায়, ৭ অক্টোবর হোটেলটি পরিদর্শনে তরল বর্জ্য নিঃসরণের মাধ্যমে পানি ও বায়ু দূষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রকৃতপক্ষে ৭ অক্টোবর পরিবেশ অধিদপ্তরের কেউ সায়মন বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেনি। তরল বর্জ্য সমুদ্র ফেলছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন তথ্য। তরল বর্জ্য পৌরসভার ড্রেনে যায় পরিশোধন হওয়ার পরে।’

সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব রহমান রুহেল ওই ব্যাখ্যায় অভিযোগ করেছেন, ‘পরিবেশের সুরক্ষায় কক্সবাজারে একমাত্র হোটেল হিসেবে সায়মন বিচ রিসোর্ট ব্যয়বহুল এসটিপি সংযোজনের পরও যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কারও আবেগবশবর্তী বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্তে ক্ষতির শিকার হয় তাহলে জনমানসে পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রম এবং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই সায়মন বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এর প্রতিকার চায়। ন্যায়বিচারের স্বার্থে কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবে।’

তিনি জানান, ‘বস্তত তিনমাস অন্তর অন্তর হোটেলের নিঃসৃত তরল বর্জ্যের গুণগত মান বিশ্লেষণ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিযুক্ত ব্যক্তিকে কায়িক পরিদর্শন করতে হয়। কিন্তু তাদেরকে বারবার তাগিদ দিয়েও আনা যায় না। বছরে চার বার পরিদর্শনের স্থলে তারা পরিদর্শন করেছে মাত্র একবার। এই গাফেলতির দায় কি সায়মন বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের? নিয়মিত পরিদর্শন না করে দায় এড়ানোর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম মেনে চলা কক্সবাজারের একমাত্র এসটিপিযুক্ত হোটেলকে জরিমানা করা পর্যটন শিল্পের জন্য হুমকি।’

মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘আমাদের জানা মতে অন্যান্য হোটেলগুলোতে এসটিপি নেই। এসটিপি না থাকার পরও তারা কিভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেল এবং কিভাবে বিনা বাধায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে? অথচ কক্সবাজারে এসটিপিযুক্ত একমাত্র হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টকে জরিমানা কেন করা হল তা বোধগম্য নয়।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!