চট্টগ্রাম পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বয়কটের হুঁশিয়ারি

হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আানার দাবি

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রবাসের আবাসিক হলের আসন বরাদ্দ নিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এতে ব্যর্থ হলে পরীক্ষা বয়কটের হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে পলিটেকনিকের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা রাজনীতি চায় না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা শুধু সুষ্ঠুভাবে আবাসিক হলে উঠতে চায়। মেধা ও বাসস্থানের দূরত্বের ভিত্তিতে হলের সিট বরাদ্দের পরও কেন হামলা হলো?

দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে পরীক্ষা বয়কটের হুঁশিয়ারিসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা ‘পলিটিকনিকে হামলা কেন-প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা পলিটেকনিকে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই-হোস্টেল খোলা চাই’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে ২১ নভেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আবাসিক হলের সিট বরাদ্দ নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়। ঘটনার জন্য ছাত্রশিবিরের পক্ষ ছাত্রদলকে দায়ী করে বলা হয়, বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে নিয়ে এসে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ থেকে কর্মীদের পলিটেকনিকে নিয়ে এসে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে ১০ নভেম্বর কলেজ প্রশাসন হলে আসন বরাদ্দ দেওয়ার নোটিশ দেয়। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। ১৮ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ হলে ১৯ ও ২০ নভেম্বর হলে ওঠে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হামলার ঘটনার পর ২৪ নভেম্বর (রোববার) চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় দুটি আলাদা সংগঠন। সকালে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কর্মসূচির ডাক দেয় কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ নামের আরেকটি সংগঠন।

রোববার দুপুরে নগরীর ষোলোশহর রেলওয়ে স্টেশনে ‘বৈষম্যবিরোধী কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’’ ব্যানারে ছাত্রাবাসের আসন বরাদ্দ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm