চট্টগ্রাম নগরে সহিংসতার ১৭ মামলায় আসামি ৩৬ হাজার, নয়টিরই বাদি পুলিশ

নগরীতে গ্রেপ্তার এ পর্যন্ত ৪০৮ জন

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় ২৮টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে হয়েছে ১৭ মামলা। নগরের এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৬ হাজার জনকে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় মামলা হয়েছে ১১টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৬৯ জনকে। এদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১৬৯ জনের, অন্যরা অজ্ঞাত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত নয় দিনে চট্টগ্রাম নগরীতে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০৮ জন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মামলাগুলোতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৯৩ জনকে।

চট্টগ্রাম নগরীতে দায়ের হওয়া ১৭ মামলার মধ্যে পাঁচলাইশ থানায় ছয়টি, কোতোয়ালীতে চারটি, বাকলিয়ায় একটি, চান্দগাঁওয়ে চারটি, খুলশী থানায় একটি এবং হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর এসব মামলার ৯টিতেই পুলিশ বাদি হয়েছে। অপর আটটি মামলার একটি করেছে বহাদ্দারহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং অন্যগুলোতে বাদি হয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি।

জানা গেছে, সর্বশেষ বুধবার নগরীর হালিশহর থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এতে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) কাজী মো. তারেক আজিজ।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৭ থানায় মামলা হয়েছে ১১টি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চলমান আন্দোলনে ১৬ জুলাই থেকে সহিংস রূপ ধারণ করে। এদিনই পুলিশ এবং যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় তিন জন। ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট মোড়ে আবারও সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় দু’জন। এরপর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র মারা যায় হাসপাতালে। কোটা আন্দোলনে চট্টগ্রামে সব মিলিয়ে ছয়জন মারা যায়।

কোটা আন্দোলনে সারা দেশে প্রাণ গেছে ২০৩ জনের। তবে মৃতের সংখ্যার কোনো সরকারি হিসাব পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল, নিহতদের স্বজন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদের মাধ্যমে নিহতের সংখ্যা নিরূপণ করা গেছে।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm