হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকা, সঠিক কাগজপত্র না পাওয়াসহ নিয়ম না মেনে সেবা দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর দুই হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। এছাড়া নগরীর বাইরে ১৪ উপজেলায় আরও ১৫টি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিভিন্ন হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন শেষে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
নগরীর হাসপাতাল দুটি হলো— চট্টেশ্বরী রোডের দেশ মেডিকেল সার্ভিস এবং পাঁচলাইশের ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতাল।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশ মেডিকেল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ২০১৫ সালের পর কোনো লাইসেন্স নবায়ন করেনি। তাদের নেই জরুরি বিভাগও। অপারেশন থিয়েটারও মানসম্মত নয়, হাসপাতালের পরিবেশও নোংরা। নার্সরাও কেউই ডিপ্লোমাধারী নার্স নন। সবমিলিয়ে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেন সিভিল সার্জন।
একইসঙ্গে পাঁচলাইশের ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতালের অনলাইনে নিবন্ধনের অনুমতিপত্র ও হাসপাতাল পরিচালনার কোনো অনুমতির কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। অপারেশন থিয়েটার মানসম্মত না থাকাসহ নানান অনিয়মে এ হাসপাতাল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
নগরীর দুটি হাসপাতাল ছাড়াও ১৪ উপজেলার ১৫টি হাসপাতাল-ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী, আনোয়ারা উপজেলায় ১টি করে, লোহাগাড়ায় ২টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৩টি, বাঁশখালীতে ৭টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলায় যেসব হাসপাতালে অনিয়ম পাওয়া গেছে তা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তর যে সিদ্ধান্ত দেবে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
আরএম/ডিজে