আর মাত্র ৩০ দিন পর চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরে প্রচলিত পদ্ধতির ডিশ ক্যাবল সিস্টেম আর চলবে না। এনালগ সিস্টেমের পরিবর্তে পুরো ব্যবস্থাটিকে ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে হলে গ্রাহককে ডিজিটাল সেট টপ বক্স কিনে সেটার গ্রাহক হতেই হবে।
আর এই সবকিছুই করতে হবে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে ডিশ ব্যবহারকারীরা সেট টপ বক্স না বসালে আর স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখতে পারবেন না।
জানা গেছে, বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে হলে গ্রাহককে ডিজিটাল সেট টপ বক্স কিনে সেটার গ্রাহক হতে হবে। গ্রাহকদের সেট টপ বক্স দেওয়ার ব্যবস্থা করবে ক্যাবল অপারেটররা। কিস্তিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা সেট টপ বক্সের দাম আদায় করবে।
কেবল অপারেটররা অবশ্য ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, সেট টপ বক্সের দাম তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে ১২ থেকে ৩০ কিস্তিতে নেবেন। অন্যদিকে গ্রাহক চাইলে কেবল অপারেটরের কাছ থেকে না নিয়ে নিজেই বাজার থেকেও কিনে নিতে পারবেন।
সরকার দুটি প্রতিষ্ঠানকে ডিটিএইচ লাইসেন্স দিয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সচল আছে বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন ‘আকাশ’। সেট টপ বক্সসহ প্রতিষ্ঠানটির ডিটিএইচ সেবার সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য প্রায় ৪ হাজার টাকা। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজের মাসিক বিল প্রায় ৫০০ টাকা। অন্যদিকে ডিটিএইচ লাইসেন্স পাওয়া অপর প্রতিষ্ঠানটি সরকারি মালিকানাধীন বিটিভি। তবে তারা এখনও ডিটিএইচ কার্যক্রম শুরু করেনি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে সব ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিস্টেম ডিজিটালাইজড করতে হবে। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহর, সব বিভাগীয় শহর এবং কুমিল্লা, বগুড়া, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, রাঙামাটি, কক্সবাজার জেলা শহরে ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ডিজিটাল সেট টপ বক্সের দাম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা বা তার বেশিও হয় অনেক সময়। ক্যাবল অপারেটররা সেগুলো সরবরাহ করবে। সেটি ১২ কিংবা ৩০ কিস্তিতে তারা টাকা নেবেন। কিভাবে নেবেন— সেটি গ্রাহকের সঙ্গে তাদের বিষয়। সেটা সরকার ঠিক করে দেবে না।
মন্ত্রী বলেন, ‘দুটি ডিটিএইচ লাইসেন্স দেওয়া আছে। দুটির মধ্যে একটি আকাশ, আরেকটি বিটিভিকে। বিটিভি এখনও কার্যক্রমে যায়নি, খুব সহসা যাবে। আমরা দেখছি টাটা স্কাইয়ের নামে অনেক জায়গায় ডিটিএইচ সেবা বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হচ্ছিল, সেটির বিরুদ্ধে আমরা এনফোর্সমেন্ট করেছিলাম, অনেক কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘ইদানিংকালে চীন থেকে সেটআপ বক্স এনে অন্যদের ডিস লাগিয়ে সেখান থেকে ডিটিএইচ সেবা নিচ্ছে, এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা এনফোর্সমেন্ট করব। এগুলোর কিন্তু কঠিন শাস্তি হবে।’
সিপি
বাহ! একচেটিয়া ব্যবসা করার কত সুযোগ দেয়া হচ্ছে বেক্সিমকো কোম্পানিকে! আরও দুই-একটি কোম্পানি বাজারে আসার আগে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে সরকারের বিরত থাকা উচিৎ।
ঠিক বলেছেন। সহমত পোষন করছি।
ভিক্ষা নেওয়ার জন্য নতুন ফন্দি কেনো আটো।
জনগনকে বললেত হয়। জনগন এমনেই দুই এক টাকা ভিক্ষা দিয়ে দিবে।
লজ্জা করা উচিত মন্ত্রিপরিষদ!
এখনো গরীব মানুষ ১০০ টাকায় ডিস লাইন দেখতে পারে কিন্তু এখন থেকে ৩০০ বা ৫০০ টাকা দিয়ে কিভাবে দেখবে।
আরো বিকল্প রেখে কম ট্যারিফে আগাবে বলে বিশ্বাস রাখি।
আরো বিকল্প রেখে কম ট্যারিফে আগাবে বলে বিশ্বাস রাখি।
এইটা কিন্তু সরকারের প্রতি জনগন থেকে একটি ভুল মেসেজ যাবে বলে মনে করছি।
এটাতো সরকারি দলের নেতার মালিকানাদিন কম্পানি বেক্সিমকো, এদেরকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত,, সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করা হয়নাই
Digitalization এর নামে ব্যবসায়িক মুনাফার ফন্দি , সাধারণ জনগণ ভুক্ত ভোগি । Digitalization এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের খরচ কমবে এমন ব্যবস্থা করা উচিত ।
সব টাকা টাকা । এত দিন ক্লিনফিড আর এখন সেট টপ বক্স ।বাহ 50 টাকার চিনি 100 ,20টাকার আটা 40টাকা ,100 টাকার ডিস বিল 300 টাকা বাহ বাহ বাহ ,মন্ত্রীগন
প্রতিযোগী বিহীন কোন ডিটিএইচ ভালো সেবা প্রদান করতে পারে না গ্রাহককে। সেজন্য আপনাদের কাছে রিকুয়েস্ট বাংলাদেশ আরো একটি ডিটিএইচ ব্যবসা চালু করে দেন।
Amra 200 tk per month bill dei, Ato tk diye amr dish dekha possible na
99% গ্রাহক DTH সংযোগ নেয়ার পর বিটিভি কার্যক্রম শুরু করবে। যেমন টেলিটক সবার পিছনে থাকে!
এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। ডিজিটালের নামে সরকার খরচ না কমিয়ে বাড়ানো হচ্ছে কেন?
একটা কোম্পানিই মনোপলি বিজনেস করবে। আর কোন কোম্পানি অনুমোদন পাবে না এবং বিটিভিও কোনদিন কার্যক্রম শুরু করবে না।
এইদেশ আসলেই কিছু মুষ্টিমেয় মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
Government by few=Oligarchy.
Valo laglo comments ta
Amra 200 tk per month bill dei, Ato tk diye amr dish dekha possible na.
এই ধরনের সিন্ধান্ত একটা অপ্রয়োজনীয়। টাকা কামানোর নতুন উপায়।
অবৈধ সরকার দলীয় মন্ত্রী আমলাদের প্রতিষ্ঠান দেশের সাধারণ জনগণের একশ থেকে দেড়শ টাকার ডিশ বিল 500 টাকায় বর্ধিত করে বেক্সিমকো গ্রুপকে একচেটিয়া ব্যবসা করার অনুমোদন দিয়েছে। জনগণের হক মেরা টাকার ভাগ উপর থেকে নিচ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কুলাঙ্গাররা পাবে। দেশের জনগণ ও সাধারন মানুষের কি হবে সেটা কখনোই আওয়ামী অবৈধ সরকার ভোটবিহীন সরকার একবারের জন্য ভেবে দেখেনা। বিভিন্ন ডিজিটালের নামে ব্যবসা চালু করে সাধারন মানুষের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াই এই কুলাঙ্গার সরকারের আমলাদের মূল উদ্দেশ্য। বাজেটে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে নীতি করে বিদেশে প্রেরণ করে ও তাদের ক্ষ্যান্ত হয়নি এখন আসছে 100 টাকার ডিস বিল 500 টাকা এবং ডিটিএইচ সিস্টেম একচেটিয়াভাবে বেক্সিমকো নামক আওয়ামী আরেক প্রতিষ্ঠানকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে। সত্যিই বেশ ফ্রেশ মগের মুল্লুক ও আওয়ামী স্বৈরাচারী বর্বর আমলের পরিচালিত হচ্ছে।