চট্টগ্রাম-ঢাকার দুই গার্মেন্ট কাপড়ের ভাঁজে ৮ কোটি টাকার স্বর্ণবার উড়িয়ে এনে ধরা

চট্টগ্রাম ও ঢাকার দুটি গার্মেন্ট কোম্পানি আমদানি করা কাপড়ের ভাঁজে করে ১১ কেজি ওজনের ৯৬টি স্বর্ণের বার এনে ঢাকা বিমানবন্দরে ধরা খেয়েছে।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ফ্রেইট থেকে ওই দুটি তৈরি পোশাক কারখানার জন্য আমদানি করা কাপড়ের ভাঁজ থেকে আনুমানিক আট কোটি টাকা মূল্যের এসব স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডের বেসটেক বিডি লিমিটেড এবং ঢাকার শ্যামলীর ইস্টার্ন অ্যাপারেল লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানি করা গার্মেন্ট সামগ্রীর আড়ালে অবৈধভাবে এসব স্বর্ণের বার আনা হচ্ছিল।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিরোজ আলম (২৫) ও নিয়ামত উল্লাহ (৪০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। দুজনেই মাসফি এন্টারপ্রাইজ নামের এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মী। ওই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গার্মেন্ট কোম্পানি দুটির হয়ে কাজ করছিল। এর মধ্যে ইস্টার্ন অ্যাপারালের নামে আসা কাপড়ের ভাঁজে ৬৪টি বার এবং বেসটেক বিডির নামে আসা কাপড়ের ভাঁজ থেকে ৩২টি বার বের করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফিরোজ ও নিয়ামত ধরা পড়েন।

কাস্টমস ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুর রউফ জানান, কাপড়ের ভাঁজে স্কচ টেপ মোড়ানো চারটি বান্ডিল থেকে ৬৪টি এবং আটক দুজনের কাছ থেকে ৩২টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এসব বারের ওজন প্রায় ১১ কেজি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় আট কোটি টাকা।

ইস্টার্ন অ্যাপারাল লিমিটেড ও বেসটেক বিডি লিমিটিড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানি করা গার্মেন্ট সামগ্রীর আড়ালে অবৈধভাবে এসব স্বর্ণের বার আনা হচ্ছিল বলে জানান তিনি।

গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াও আমদানিকারক দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে সাড়ে ১০ কেজি ওজনের ৯০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!