চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেই তাইজুলের স্পিন বিষে দিশেহারা পাকিস্তান

চট্টগ্রাম টেস্টে আগের দুই দিনের ‘ঐতিহ্য’ ধরে তৃতীয় দিনেও লাঞ্চের আগে দেখা মিলল উইকেটের। প্রথম দিন বাংলাদেশ লাঞ্চের আগে হারিয়েছিল ৪ উইকেট। এরপর আর কোন উইকেট পড়েনি। দ্বিতীয় দিন এসে লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশের বাকি ৬ উইকেট পড়ে যায়। দিনের শেষ দুই সেশনে পাকিস্তানের কোন উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন (রোববার) সকাল হতেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগার বোলাররা।

দিনের শুরুতেই চমক দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিকের ওপেনিং জুটি ভাঙেন ১৪৬ রানের মাথায় শফিককে ৫২ রানে ফিরিয়ে।

ওভারের শেষ বলে আজহার আলিকে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ফেরান সাজঘরে। টাইগারদের দুর্দান্ত দিন শুরুর পর পাক ওপেনার আবিদ আলী অবশ্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকের দেখা পান। শফিক আর আজহারের বিদায়ের পর আবিদকে সঙ্গ দিতে আসেন বাবর আজম।

তবে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ১৬৯ রানের মাথায় বাবরকে বোল্ড করে মাত্র ১০ রানেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন মিরাজ।

তবে ভয়টা ছিল ফাওয়াদ আলমকে (৮) নিয়ে। শেষ কয়েকটি ইনিংসে প্রতিপক্ষকে নাচিয়ে ছেড়েছিলেন ফাওয়াদ। তবে তাকেও ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন তাইজুল। ১৮২ রানের মাথায় তাইজুলের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের আলতো ছোঁয়া লেগে বল যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। আউটের আবেদন করলেও আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতেই মিলে সফলতা। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বলা যায় বিপাকেই পড়েছে পাকিস্তান।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে অল-আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৩৩০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৪ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯১ রান করেন মুশফিকুর রহিম। শেষ দিকে ৩৮ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!