করোনাভাইরাসের কারণে সরকার টানা ১০ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সীমিত আকারে চলবে শুল্কায়নের কাজ। জরুরি কিছু পণ্য ছাড় করতে কাজ করবে কাস্টম কর্মকর্তারা। এর আগে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার কাজী মো. জিয়াউদ্দিন জানান, জরুরি খাদ্য চাল, গম ,ডাল, ওষুধ, করোনা ভাইরাস মোকাবেলার কিট এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বন্দর থেকে ছাড় করতে সীমিত আকারে শুল্কায়নের কাজ করবে কাস্টম হাউস। তবে আগামী ২ দিনের মধ্যে জরুরিভিত্তিতে এসব পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির মত সাধারণ ছুটিতেও বন্দরের অপারেশনাল কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা কাজ করবে। জাহাজের পাইলট, সিকিউরিটি, ট্রাফিক বিভাগের কর্মীরা এর আওতায় থাকবে। তবে এই বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আমরা এখনও পাইনি।’
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯২ ভাগ আমদানি রপ্তানি সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে আমদানি এবং রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়নে প্রায় ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে সিএন্ডএফ (ক্লিয়ারিং এন্ড ফওয়ার্ডিং) এজেন্টরা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে দৈনিক রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় কমতে শুরু করে শুল্ক।
এএস/এমএফও