সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ২৪টি বিলাসবহুল গাড়ি প্রথমবারের মতো নিলামে উঠেছে। নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে ১৪টিতে দর পাওয়া গেলেও ১০টিতে কোনো দর জমা পড়েনি। প্রাপ্ত দর বিবেচনায় কোনো গাড়িই বিক্রি সম্ভব হয়নি।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
নিলামে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের গাড়িগুলোর সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, সংরক্ষিত মূল্যের ৬০ শতাংশ বা তার বেশি দরে গাড়ি বিক্রির শর্ত থাকলেও এ দফায় তা পূরণ হয়নি। সবচেয়ে কম দর আসে গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আখতারউজ্জামানের গাড়িতে, মাত্র ১ লাখ টাকা।
অন্যদিকে খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন এবং নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেনের (পাভেল) ফেলে যাওয়া গাড়িতে সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেছে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামানের গাড়িতে সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দর ওঠে। সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের গাড়িতে সর্বোচ্চ দর ছিল ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিকের গাড়িতে প্রাপ্ত দর ২ কোটি ১০ লাখ। তবে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সদস্য শাম্মী আহমেদের গাড়িতে ৩০ লাখ এবং তারানা হালিমের গাড়িতে ৫ লাখ টাকা দর জমা পড়ে।
সবচেয়ে কম দামি গাড়িটি ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আনিসুজ্জামান এনেছিলেন, যার দর ওঠে মাত্র ৫ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন জানান, নিলামে প্রাপ্ত দর যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে যেসব গাড়িতে দর পাওয়া গেছে, সেগুলো দ্বিতীয়বার নিলামে তোলা হলে বিক্রির সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতসহ ১০ জন সংসদ সদস্যের গাড়িতে কোনো দর জমা পড়েনি। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, এসব গাড়ি পুনরায় নিলামে তোলা হবে এবং দর বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলবে।
প্রথম নিলামে আশানুরূপ সাড়া না মিললেও দ্বিতীয় নিলামে গাড়িগুলো বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
জেজে/ডিজে