চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রক্তাক্ত মুখে সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ লতিফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে কারাগারে লতিফের ওপর হামলা হয়েছে— এমন তথ্য জানা গেলেও কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, অজু করতে গিয়ে তিনি পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। মেডিকেলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে অবশ্য জানা গেছে, লতিফের চোখের আশপাশ ছিল কালো। তাদেরও ধারণা, তিনি হামলার শিকার হয়ে থাকতে পারেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লতিফ আহত হওয়ার পর রাত ৮টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা লতিফের কপালের ডানপাশে ব্যান্ডেজ লাগানো ছিল। মুখে ছিল মাস্ক।
কারাগার সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের ভেতর এমএ লতিফের ওপর কিছু বন্দি আকস্মিকভাবে হামলা করে। এতে নাক ফেটে যায়। চোখেও আঘাত লাগে। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওনার নাক দিয়ে বেশ রক্ত পড়ছিল। চোখের ওপর দিয়ে ফাটা ছিল। চোখের আশপাশও কালো হয়ে গেছে।’
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানান, ‘কারাগারের কর্মকর্তারা যেভাবে রিপোর্ট লিখতে বলেছেন, মেডিকেল কর্তৃপক্ষও সেভাবেই রিপোর্ট দিয়েছে তার অবস্থা সম্পর্কে।’
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় সাবেক সংসদ সদস্য এমএ লতিফ বাথরুমে হঠাৎ পড়ে আহত হন। নাক দিয়ে কিছুটা রক্ত পড়েছে। কারাগারের ভেতর ওনার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে যে তথ্য প্রচার হচ্ছে—এটা গুজব।’
গত ১৭ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী মাজার গেট এলাকা থেকে এমএ লতিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যামামলাসহ মোট ১২টি মামলা হয়েছে।
আরএ/সিপি