চট্টগ্রাম কলেজে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সাফ কথা— ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করুন’

সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ এবং বিভিন্ন সময়ে কলেজে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম কলেজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

চট্টগ্রাম কলেজে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সাফ কথা— ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করুন’ 1

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় এ কর্মসূচিতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে— ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা, ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের নামে কলেজের বিশেষ কোনো স্থাপনার নামকরণ করা, চট্টগ্রাম কলেজের হলগুলোর সংস্কার করা, আওয়ামী সরকারের অপকর্মে জড়িত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং কলেজে বিভিন্ন সময় নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা। ছাত্রদের অধিকার সংরক্ষণে ছাত্রসংসদভিত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার করতে হবে কলেজে। ছাত্রসংসদ হবে একটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম। দলীয় রাজনীতির প্রভাব ছাড়াই যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অধিকার ও সমস্যার সমাধানে কাজ করতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতির অপব্যবহার ও সহিংসতার কারণে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে বলে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। মেয়েদের সঙ্গে ‘কথা বলা’র অভিযোগ এনে ধরে নিয়ে ছাত্রদলের অন্তত পাঁচজন নেতাকর্মীকে দুই দফায় মারধর করা হয়।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করে চট্টগ্রাম কলেজের কয়েকটি গেটে ফেস্টুন ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দিন রাতেই চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ দখলে নেয় ছাত্রশিবির।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm