চট্টগ্রামের কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন কলেজেরই এক অফিস সহায়ক (পিয়ন)। ঘটনার পর গ্রেপ্তার থেকে বাঁচতে গ্রামের বাড়ি পালিয়ে গেলে সেখান থেকে পুলিশ তাকে ধরে আনে।
অভিযুক্ত পিয়ন নাম মোশাররফ হোসেন মানিক (৩০)। তিনি ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর জাফর মাস্টারের পুরাতন বাড়ির তোফায়েল আহমদের ছেলে। চট্টগ্রাম কলেজে অস্থায়ী অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
৩০ জুন অভিযুক্ত পিয়ন গ্রেপ্তার করা হলেও মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ঘটনাটি জানাজানি হয়। এর আগে এ ঘটনায় ২৯ জুন মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুন ভুক্তভোগী ছাত্রী তার মাকে নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে কলেজে আসেন। প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে দেরি হচ্ছে দেখে তিনি মাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। মা বাসায় চলে গেলে তিনি পদার্থবিজ্ঞান ভবনের ওয়াশরুমে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তার আরেক সহপাঠীর সঙ্গে দেখা হয়। সহপাঠীর সঙ্গে ওয়াশরুমের সামনে কথা বলতে দেখেন অভিযুক্ত ওই মানিক। একসঙ্গে ওয়াশরুমে দেখার বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার এবং কলেজ প্রিন্সিপালসহ সবাইকে বলে দেওয়ার ভয় দেখান তিনি। পরে প্রবেশপত্র সংগ্রহ শেষে মানিক ওই ছাত্রীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
মানিকের প্রস্তাবে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন। পথে মানিক সিএনজি থেকে নামিয়ে কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডের একটি হোটেল রুমে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার একদিন পর ২৯ জুন থানায় মামলা করে মেয়েটির পরিবার।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ধর্ষণের একদিন পর থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার পর আমরা আসামি গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ। পরে তাকে ফেনী জেলার ফুলগাজী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করি। মামলার তদন্তে আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। আসামিকে একদিনের রিমান্ডে এনে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে আবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। পিয়ন মোশাররফ হোসেন মানিক অস্থায়ীভাবে কাজ করতো। আমরা ঘটনার তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নিয়ে তার কার্যক্রম স্থগিত করেছি।
ডিজে