চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচারে’র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন আকাশের পাঠানো প্রতিবাদপত্রে জানানো হয়, ‘২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের সাথে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু সংবাদমাধ্যম ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা আমাদের নজরে এসেছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিন, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, ইন্ডিপেনডেন্ট চ্যানেলসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে যে ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে, তার সাথে শাখা সভাপতির কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। তিনি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় একটি প্রোগ্রামে অংশ নিতে কয়েকদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন, যা চট্টগ্রাম প্রশাসনও অবগত।’
এদিকে এই ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ তথ্য প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি তানজীর হোসাইন জুয়েল বলেন, ‘ঢাকায় অবস্থান করা ব্যক্তির নেতৃত্বে কীভাবে চট্টগ্রামে হামলা হতে পারে, সেটা বিবেচনা না করেই প্রতিবেদন প্রচার করা সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের পরিপন্থী। যারা এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন, তারাও ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতির চর্চা করছেন। আমরা মনে করি, ছাত্রসংগঠনগুলোর সাথে পরিকল্পিতভাবে দূরত্ব তৈরি করার জন্য একটি কূটকৌশল চালানো হচ্ছে।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের মতো সুশৃঙ্খল ও আদর্শিক সংগঠনের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা প্রতিবেদন করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘এই মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডার মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোকে ভবিষ্যতে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানাই।’
চট্টগ্রাম প্রতিদিনের বক্তব্য
প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোথাও চট্টগ্রাম প্রতিদিনের নিজস্ব বক্তব্য নেই। হামলার শিকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে আমরা অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট যাদের নাম এসেছে, তাদেরও বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করে বিফল হয়েছি। এছাড়া অভিযুক্ত হিসেবে যার নাম বলা হয়েছে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কিনা সেটি চট্টগ্রাম প্রতিদিনের পক্ষ থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি— এটিও প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ কোনো সংগঠন বা ব্যক্তির প্রতি উদ্দেশ্যমূলক অনুরাগ বা বিরাগ প্রকাশ করা চট্টগ্রাম প্রতিদিনের নীতির মধ্যে পড়ে না।