চট্টগ্রামের বাকলিয়া থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির পাঁচটি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় তল্লাশি করে মুখপোড়া হনুমানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন কক্সবাজারের চকরিয়ার মো. সেলিম (৫৩), নুরুল কবির (৩১) ও মহেশখালীর সালাউদ্দিন কাদের (৩৫) ।
জানা গেছে, এর আগে ২৪ মে ৪টি ধনেস পাখিসহ মহেশখালী থানায় গ্রেপ্তার হন মো. সেলিম। ওই ঘটনায় তাকে ৬ মাসের সাজাও দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য সারাবিশ্বে গোয়েন্দা নজরদারী পরিচালনা করছে। সে ধারাবাহিকতায় পুলিশের হেড কোয়াটার্সের তথ্য অনুযায়ী বাকলিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচটি মুখপোড়া হনুমানসহ তিন প্রাণী পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে। এরআগে, সোমবার (৩০ অক্টোবর) মহাবিপন্ন দুটি গোরখাদকসহ এ চক্রের আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে থেকে এসব প্রাণী ধরে আনে বলে জানিয়েছে। এরপর দেশের বিভিন্ন সীমান্ত ও নৌ পথ দিয়ে এসব প্রাণী ইউরোপ-আমেরিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশে এসব প্রাণীর অনেক দাম। যে প্রাণী যত বেশি বিরল, তত দাম বেশি। তাই লোভে পড়ে পাচারকারীরা এসব প্রাণী ধরে বিদেশে পাচার করে।’
তিনি বলেন, ‘এ চক্রে আরও যারা জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা যে শুধু এগুলো বহন করে তা নয়, এরা চোরাচালানের অংশীদার। চট্টগ্রামকে তারা একটি রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।’
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ৩৪(খ), ৩৯ ও ৪১ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং প্রাণীগুলোকে আইন অনুযায়ী বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এর আগে গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশায় তল্লাশি করে মহাবিপন্ন দুইটি গোরখাদকসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরএম/ডিজে