চট্টগ্রামে ৫৩৭ কোটি টাকায় গমের গুদাম, রাখা যাবে ১ লাখ মেট্রিক টন

গম জমা রাখার জন্য ৫৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা খরচ করে চট্টগ্রামে বানানো হবে একটি ইস্পাতের সাইলো (গুদাম)। চট্টগ্রামের এই সাইলোটির ধারণক্ষমতা হবে এক লাখ ১৪ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই গুদাম স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিস প্রজেক্ট (এমএফসিপি)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউ-২৪ এর আওতায় চট্টগ্রামে গমের জন্য একটি ইস্পাত সাইলো স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

চট্টগ্রামে গমের সাইলো স্থাপনের কাজটি পেয়েছে যৌথভাবে বাংলাদেশের কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং যুক্তরাষ্ট্রের জিএসআই গ্রুপ এলএলসি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৪ টাকা।

সভায় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক ট্যাবলেট ফর সিএপিআই ফর মেইন সেনসাস প্যাকেজে তিন লাখ ৯৫ হাজার ট্যাবলেট ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৪৭ কোটি ৭৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭০ টাকায় ক্রয়েরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক নূরানী কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের কাছ থেকে পাঁচ কোটি ৫২ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৮ টাকায় প্রকল্পের প্যাকেজ নং পূর্ত-১(ই)-এর আওতায় পণ্য সরবরাহ এবং স্থাপন কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

একই প্রকল্পের অন্য এক প্রস্তাবে প্যাকেজ নং পূর্ত-১(ডি)-এর আওতায় নূরানী কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের কাছ থেকে তিন কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ২৪৩ টাকায় পণ্য সরবরাহ এবং স্থাপন কাজ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয়ের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের দুটি, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের একটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। এছাড়া টেবিলে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৭৩৭ কোটি চার লাখ ১৩ হাজার টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিস প্রজেক্ট (এমএফসিপি)’ প্রকল্পের আওতায় ইন্টিগ্রেটেড ফুড পলিসি রিসার্চ প্রোগ্রাম কাজে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৯ কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৯১৩ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন না দিয়ে সময় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এজন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগের চুক্তি মূল্যে সময় বাড়িয়ে কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগ; ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আরবানা শ্যাম্পেইন এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm