চট্টগ্রামে ১৫ হাজার ইয়াবাসহ তিন রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের ষোলশহর বিবিরহাট এলাকা থেকে ইয়াবাসহ তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. নিয়াজ উদ্দিন (২৫), টেকপাড়া এলাকার বাসিন্দা রোহিঙ্গা নাগরিক মো. আইয়ূব আলী (৪২) এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা রোহিঙ্গা নাগরিক মো. সেলিম (৩২)।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে নগরীর ষোলশহর-বিবিরহাট এলাকায় ইয়াবা হস্তান্তরের জন্য চারজন অপেক্ষা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের টিম অভিযানে গেলে দুইজন পালিয়ে যায়। পরে নিয়াজ ও আইয়ূবকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী সেলিমকে শনিবার ভোরে সীতাকুণ্ডের উত্তর সলিমপুরের বাংলাবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও তিনজন এ চক্রে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলো মো. হানিফ (৩৮), কালা মোহাম্মদ (৩৮) ও মো. আলম (৫০)। গ্রেপ্তার তিনজনসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানানো হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খাঁন জানান, গ্রেপ্তার নিয়াজের পরিবার এক দশকেরও বেশি সময় আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল। বছরখানেক আগে নিয়াজ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় চলে আসে এবং বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকে। আইয়ূব আলীও পরিবার নিয়ে দুইবছর আগে মায়ানমার থেকে কক্সবাজারে আসে। প্রথমে অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকলেও পরে সে কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করে। সেলিমও দুইবছর আগে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে আসে।

রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জব্দকৃত ১৫ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জব্দকৃত ১৫ হাজার ইয়াবা

মিয়ানমারে থাকার সময় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিল সেলিম। কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল সেলিমের। দুই বছর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে প্রথমে কিছুদিন অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকলেও পরে সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে এসে পাহাড়ে ঘর বানিয়ে বসবাস শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, আলম ও সেলিমের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক। সেলিম হচ্ছে আলমের এজেন্ট। আলম টাকা দেয়, সেলিম হানিফ ও কালা মোহাম্মদের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা চট্টগ্রাম নগরীতে নিয়ে আসে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা নাগরিককে তারা বাহক হিসেবে ব্যবহার করে। নিয়াজ, আইয়ূব আলী বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আলম সীতাকুণ্ড উপজেলার বাসিন্দা । সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদে আলমের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডিবির এ পরিদর্শক।

হাসান/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!