চট্টগ্রামে ১৪০ কোটি টাকায় হচ্ছে বিমানসেনা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট

পাহাড়তলী রেল কারখানার সক্ষমতা বাড়াতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রামের বিএএফ ঘাঁটি জহুরুল হকে বিমানসেনা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে ১৪০ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে। অন্যদিকে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ দুটিসহ মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৪ হাজার ৬৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে বাকি টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সক্ষমতা বাড়াতেও বলেছেন। তিনি বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশের কোথাও নতুন সেতু তৈরি হলে তার নিচ দিয়ে নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো—বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি ব্রডগেজ (বিজি) প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭০৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। লোকাল গভর্নমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৫৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। দ্য প্রজেক্ট ফর ইমপ্রুভমেন্ট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। নওগাঁ সড়ক বিভাগাধীন তিনটি আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং তিনটি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

আরও রয়েছে— রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটারনাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ভূগর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষামূলকভাবে ড্রিপ সেচ পদ্ধতির প্রচলন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা।

এছাড়া রয়েছে সার্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-২ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৫০ কোটি টাকা। বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ এবং পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য শরিফা বেগম।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!