চট্টগ্রামে ১২৩ জন সুস্থতার দিনেও ১২১ করোনা শনাক্ত

চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের পর একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা রোগী সুস্থ হলো গত ২৪ ঘণ্টায়। এদিন রেকর্ড ১২৩ জন রোগী করোনাকে জয় করেছেন। তাতে ছাড়িয়ে গেল আগেরদিনের সুস্থ হওয়া ১২০ জনকে। তবে একই সাথে বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যাও। নতুনভাবে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে ১২১ জনের দেহে।

সরকারি-বেসরকারি সাতটি ল্যাব মিলিয়ে ৯৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৯২ জন এবং উপজেলার ২৯ জন নিয়ে এই ১২১ জন রোগীর খোঁজ মিলে। ফলে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত গিয়ে দাঁড়ালো ১৪ হাজার ৭৪৬ জনে। একইসাথে গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে নগরে দুজন মারা যাওয়ায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ২৩৮ জন , যাদের ১৬৫ জন নগরের ও ৭৩ জন উপজেলার। অন্যদিকে, এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৮৩৮ জন করোনা রোগী।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি তিনটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ৯৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে নগরের ৮৯ জন এবং উপজেলার ২৯ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা থেকে ১২৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় নগরের দুজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো করোনা টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ৩০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় মাত্র ১৮ জন। এর মধ্যে ১০ জন নগরের বাসিন্দা ও ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ হন ২ জন। দুজনই নগরের।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ৪৪ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরের ৩২ জন, বাকি ১২ জন বিভিন্ন উপজেলা বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে চারদিন পর ১৫১ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ২০ জন নগরের এবং ১১ জন উপজেলার।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। যাদের ১৭ জনই নগরের এবং বাকি ১ জন উপজেলার।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি পরীক্ষাগার শেভরণ ল্যাবেও চারদিন পর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। ১০২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ১৩ জন নগরের এবং ৩ জন উপজেলার।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২৯ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় পটিয়া উপজেলায়। সেখানে ৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া ফটিকছড়িতে ৬ জন, রাউজানে ৫ জন, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং আনোয়ারা, চন্দনাইশ ও সীতাকুণ্ডে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!