চট্টগ্রামে হঠাৎ বেড়ে গেছে করোনার হানা, হাসপাতালে আবার প্রস্তুতি শুরু

গতবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে স্বাস্থ্য প্রশাসন

চট্টগ্রামে আবার বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে— এটা আঁচ করতে পেরে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। গত ছয় দিন ধরে টানা ১০০ জনেরও বেশি পজিটিভ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সর্বশেষ গত ৪৮ ঘণ্টা আগেও শনাক্ত হয়েছেন ১৪৬ জন— যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে আঁচ করতে পেরে এর মধ্যেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ৫০টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। অন্যদিকে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) নগরীর সাতটি ল্যাবে ১ হাজার ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। অর্থাৎ মোট নমুনা পরীক্ষার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক। এর মধ্যে ১৩৫ জনই নগরের, বাকি ১১ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ হঠাৎ করেই কিছুটা উর্ধ্বমুখী। গত দুই মাস ধরেই আমাদের করোনা শনাক্তের হাত ৬ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যেই ছিল। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) হঠাৎ সেটি ১৩ শতাংশের বেশি হয়ে গেল। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন একশোর বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে।’

করোনা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হচ্ছে জানিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়ে সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আমাদের প্রায় সাড়ে ৬০০ সিট আছে করোনা চিকিৎসার জন্য। এর মধ্যে মোটে ১২০টি সিটে রোগী আছে। তবু আমরা প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি রাখতে চাই না। অক্সিজেনসহ সব রকমের প্রস্তুতিই আমাদের আছে। গত সময়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সব রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

চট্টগ্রাম মেডিকেলে আরও ৫০ সিট বাড়ানো হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলে রাব্বী বলেন, ‘বিষয়টা ঠিক ওরকম না। আমাদের যথেষ্ট সিট আছে। তবে উপরে একটা ওয়ার্ডে ৫০টির মত শয্যা প্রস্তুত রাখছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।’

যত যাই প্রস্তুতি থাকুক করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যক্তিপর্যায়ের সচেতনতাকে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘শুরু থেকেই বলছি করোনা মোকাবেলায় ব্যক্তি পর্যায়ের সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এখনও তাই বলছি। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ায় ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm