চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও গণঅধিকার পরিষদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৬ মার্চ) নগরীর মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

এতে কফিল উদ্দিন পিন্টু নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নবগঠিত চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। এর আগেই ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল গণঅধিকার পরিষদ চট্টগ্রামের শতাধিক নেতাকর্মী মিউনিসিপ্যাল স্কুলের মাঠে অবস্থান করছিল।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা ফুল দিতে গেলে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও গণ অধিকারর পরিষদ নেতাদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধাওয়ায় গণঅধিকার পরিষদের নেতারা পালিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের সভাপতি-সম্পাদকের ফুল দিতে আসতে দেরি হচ্ছিল। যার কারণে আমাদেরকে মিউনিসিপাল স্কুলের মাঠে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তখন দুই-তিনশ লোক সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। একই সাথে তাদের নেতারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে বক্তব্য দিচ্ছিল। প্রায় দেড় ঘণ্টা মতো তারা ফুল না দিয়ে এসব করছিল। পরে ফুল দিয়ে বের হওয়ার সময় আমাদের উপর হামলা করলে, তাদেরকে ধাওয়া দেই।’

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকেও একই ধরণের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ফুল দিতে গেলে দুই-তিন লোক সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি করে বক্তব্য দিচ্ছিল তারা।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তারা মিউনিসিপ্যাল স্কুলের শহীদ মিনারে ফুল না দিয়ে জটলা করে উস্কানিমূলক সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। আমরা ফুল দিয়ে বের হওয়ার সময় তারা আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের একজন আহত হয়। পরে আমরা প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যায়।’

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের সাথে গণঅধিকার পরিষদ নেতাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।’

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!