চট্টগ্রাম নগরীতে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর যোগসাজশে ইয়াবা ব্যবসা করেন। পুলিশ ছদ্মবেশে ইয়াবা কিনতে গেলে স্ত্রীকে দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করতে পাঠান স্বামী। এসময় দুই পুরুষ সহযোগী মোহাম্মদ তাহের ও মোহাম্মদ আলী জওহরসহ বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হন ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. শফির স্ত্রী আসমা আক্তার।
আটক মোহাম্মদ তাহের ও মোহাম্মদ আলী জওহর কক্সবাজার জেলা উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনূসের বাড়ির বাসিন্দা। আসমা আক্তার ও তার স্বামী শফীর বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। তারা চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় তানিয়ার মায়ের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, শুক্রবার নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত ফোরকানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তার সঙ্গে তাহের এবং শফীর ইয়াবা ব্যবসা রয়েছে। শনিবার ফোরকানের মুঠোফোন থেকে তাহেরকে ফোন করে এক হাজার ইয়াবার অর্ডার দেওয়া হয়। তাহের নিজে এবং শফির স্ত্রী আসমা আক্তার ও মোহাম্মদ আলী জওহরসহ ইয়াবা নিয়ে শাহ আমানত সংযোগ সড়কের সিলভার প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আসেন।
এই সময় বাকলিয়া থানার অপেক্ষমাণ ফোর্স এসে এক হাজার ইয়াবাসহ তিন জনকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন নগরীতে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছেন। আর শফি এবং তার স্ত্রী আসমা আক্তারও দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। ফোরকানের দেওয়া অর্ডারমতো ইয়াবা সরবরাহ করতে শফী তার স্ত্রী আসমা আক্তারকে পাঠিয়েছিল।
ওসি নেজাম আরো বলেন, আটক তিনজন এবং পলাতক শফীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী দু একদিনের মধ্যে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর নতুন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সড়কের হাজি শামসুল আলমের বিল্ডিং থেকে ফোরকান, মোবারক, রাসেল ও এক নারীকে প্রায় নয় লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১২টি চেক বই, ২৩ হাজার ইয়াবাসহ আটক করা হয়। এর আগে ৫ নভেম্বর আটককৃত রাজ্জাক ও কামালের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা পেয়েছিল পুলিশ।
এফএম/সিপি