চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্ত্রী খুনের মামলায় স্বামী তোফায়েল আহম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সেলিম মিয়া এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তোফায়েল আহম্মদ ফটিকছড়ি দৌলতপুর বাবুনগর জলিল সিকদার বাড়ির মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী বলেন, ‘স্ত্রী হত্যার দায়ে তোফায়েল আহম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এছাড়া অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জামিনে গিয়ে পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ১৩ জুন তোফায়েল আহম্মদের নিজ বাড়ি ফটিকছড়ি দৌলতপুর বাবুনগর জলিল সিকদার বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অভাব-অনটনের সংসারে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল তাদের। কলহের জেরে স্ত্রী নূর নাহারকে বুকে ও মাথায় সজোরে লাথি মারালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হলে পুকুরে নিয়ে ফেলে দেন তোফায়েল। পরে খবর পেয়ে নূর নাহারের পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় নূর নাহারের ছোট ভাই জহুরুল ইসলাম ওরফে জহুর বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেন। ২০০০ সালের ২৫ মার্চ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এই মামলায় চার্জ গঠনের পর ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আরএস/ডিজে