চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে সুইপারের ২০ বছরের সাজা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলায় চালিয়েছিল ছুরি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে স্কুলপড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অপরাধে আপন চন্দ্র মালি নামের এক স্কুলের সুইপারকে পৃথক মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে দুই মামলায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শরমিন জাহান শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আপন চন্দ্র মালি হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ মালি বাড়ির মৃত উমেশ চন্দ্র মালির ছেলে। তিনি কাটিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সুইপারের কাজ করতেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ দুপুর ২টার দিকে তৃতীয় শ্রেণির ওইছাত্রী শিউলি (ছদ্মনাম) বড় ভাইকে খাবার পৌঁছে দিতে কাটিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত সুইপার আপন কৌশলে শিউলিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় শিউলি চিৎকার করলে তাকে শ্রেণীকক্ষের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দেন আপন। এতে শিউলির ডান চোয়ালের হাড় ভেঙে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর শিউলিকে হত্যার উদ্দেশ্য গলার দু’পাশে ছুরি দিয়ে কেটে স্কুল ভবনের নিচে সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেয় আপন।

শিউলি ঘরে না ফেরায় তার বান্ধবীর কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, স্কুল ভবনে যাওয়ার পর শিউলি আর ফিরে আসেনি।

পরে খুঁজতে গিয়ে শিউলিকে সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

ঘটনার পরের দিন ১২ মার্চ শিউলির বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২৬ জুলাই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক মো. তানজির হোসেন চার্জশিট দেন। মামলায় সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. রাশেদুল আলম রাশেদ বলেন, ‘আপন চন্দ্র মালির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)(খ) ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে দন্ডবিধির ৩০৭ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!