চট্টগ্রামে সোমালিয়ার উপমন্ত্রী এলেন আইআইইউসির সাবেক শিক্ষার্থী হয়ে, জানেন চট্টগ্রামের ভাষাও

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য উৎসবের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিভিন্ন দেশের অর্ধ শতাধিক সচিব, মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, স্পিকার, সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যোগদান করেন। দিনভর অনুষ্ঠিত এই উৎসবে যোগদান করেন দেশ-বিদেশের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও।

দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে একত্রিত হয়ে অনেকে মেতে উঠেন আড্ডা-হাসি-তামাশায়। কেউবা সেলফিতে নিজেকে আবদ্ধ করে নেন। আবার কেউ বা স্মৃতিচারণ করতে থাকেন ক্যাম্পাসজীবনের। হঠাৎ এসব কিছুতে ছেদ পড়ে উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের এক বিদেশি যুবককের উপস্থিতিতে। তাঁর চোখেমুখে উচ্ছ্বাস। সবাই তাকে ঘিরে ধরে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

ভীড় কিছুটা কমতেই কাছে গিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে জানান তাঁর নাম ইঞ্জিনিয়ার আব্দি ফাতাহ ইসাক মোহাম্মদ। আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার সাউথ ওয়েস্ট স্টেটের শিক্ষা উপমন্ত্রী। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামেরই সাবেক শিক্ষার্থী। চট্টগ্রামভিত্তিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগে।

এত বছর পর ক্যাম্পাসে এসে কেমন লাগছে জানতে চাইলে আব্দি ফাতাহ ইসাক মোহাম্মদ বলেন, ‘এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। অনেক ভালো লাগছে। সবকিছু ঘুরে দেখছি।’

এর আগে তিনি ২৫ বছরপূর্তি উৎসবের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। ইংরেজি বক্তব্য শেষে তিনি বাংলা ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়ও কথা বলেন।

ইলেকট্রনিক অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ জাহিদুর রশীদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আব্দি ফাতাহ ইসাক মোহাম্মদ আমাদের বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০০৯ সালে আমাদের বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৩ সালে বিএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সোমালিয়ায় ফিরে গিয়ে সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। এছাড়া তিনি সোমালিয়ার শীর্ষ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিতে চাকরি করতেন। একপর্যায়ে রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। বর্তমানে সাউথ ওয়েস্ট স্টেটের শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা আব্দি ফাতাহ এর মতো শিক্ষার্থীকে পেয়ে গর্বিত।’

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm