চট্টগ্রামে নগর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশ’ ও বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। প্রায় চার ঘণ্টা সড়ক বন্ধ করে ’শান্তি সমাবেশ’ করেছে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে সড়ক বন্ধ করে রাজনৈতিক সমাবেশ করেছে বিএনপি।
নগরীর আন্দরকিল্লায় দুপুর ৩টায় শান্তি সমাবেশ চলাকালে আশপাশের এলাকায় ছিল দীর্ঘ যানজট। তবে সমাবেশ শুরুর আরও ঘণ্টাখানেক আগে থেকে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে রাজনৈতিক সমাবেশ করতে কাজির দেউরির বিএনপি কার্যালয়ের সামনের নূর আহমদ সড়কের ওপর লরি দিয়ে বানানো হয় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ মঞ্চ। এই সময় সড়কটি বন্ধ ছিল প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। দুপুর ১২টা থেকে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ থাকায় আশপাশের এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
কথিত সরকার উৎখাত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত চক্রের অরাজকতা সূষ্টি ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ।
সমাবেশ শুরু হওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকেই আন্দরকিল্লা-মোমিন রোড বন্ধ ছিল। এর ফলে চেরাগী পাহাড় মোড়, নন্দনকানন, জেএম সেন হলের সামনের সড়কসহ আশপাশ এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা ৬টায় শান্তি সমাবেশ শেষ হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অপরদিকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশের কারণে দুপুর ১২ থেকেই কাজির দেউরির নূর আহমদ সড়ক বন্ধ ছিল।
গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা বন্ধ থাকার ফলে কাজির দেউরি মোড়, আলমাস মোড়, আসকারদীঘি রোড়, কাজির দেউরি-লালখানবাজার সংযোগ সড়ক, লাভলেন মোড় ও এনায়েতবাজার এলাকায় ছিল যানজট। এতে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। বিকাল ৫টার দিকে লরির ওপর বানানো বিএনপির মঞ্চ রাস্তা থেকে সরানো হয়। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সড়ক বন্ধ করে রাজনৈতিক সমাবেশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জালাল উদ্দিন নামে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ না করে উন্মুক্ত স্থানে রাজনৈতিক সমাবেশ করলে কি এমন ক্ষতি হতো? রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ জনগণের ভোগান্তি নিরসনের নানান গালগল্প করেন। কিন্তু এখন দলগুলোই জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলছে।’
আরএম/ডিজে